শুভ্র আহমেদ-এর কবিতা
লং ড্রাইভ
লং ড্রাইভে অভ্যস্ত নই
ছোট দেশের নাগরিক বলে কয়েক ঘণ্টায় হাপিয়ে উঠি। তবু
তোমার সাথে লং ড্রাইভে যাবো।
জড় জীবন পিছনে ফেলে,শস্যময় সবুজ
পিছনে ফেলে, ধূসর হতে অতি ধূসর
জালের মতো ছড়ানো নদীর শেষে
সমুদ্রের বিপুল জলরাশি পিছনে ফেলে
তোমার সাথে লং ড্রাইভে যাবো।
তোমার সাথে লং ড্রাইভে যাবো
কয়লার ট্রেনে আপত্তি নেই, সাধারণ
বৈদ্যুতিক ট্রেনের খোলা জানালার
কাঁচের মধ্য দিয়ে আমরা কখনো প্রতিদিনের
চেনা গোধূলি, কখনো মিষ্টি ভোর,বিপন্ন দুপুর
কখনো রাতের অন্ধকার দেখবো;
নিশি পাওয়ার পর ভুতগ্রস্ত তারা মর্তে নেমে এলে, অদেখা ভুতের ভয়ে আমি তোমার
স্বল্পদেখা দেবীউষ্ণ বুকে মুখ গুজবো।
তুমি ঘুমিয়ে পড়ার পরও আমি জেগে থাকবো
তোমার ভেজা চোখের ঘুম ঘুম তারা দু,টোর
চলাচল দেখার লোভে আমার একান্ত প্রিয়
শেষ দুপুরের ঘুমগুলোকেও সরিয়ে দেবো দূরে।
তোমার সাথে লং ড্রাইভে যাবো
সমতল আর মরুভূমি ছাড়িয়ে আমরা পৌঁছবো
কোনো দূর পাহাড়ের বরফ শীর্ষে রডোডেনড্রনগুচ্ছের আন্দোলিত শাখায় ঠাণ্ডা
বাতাসের অবারিত দুষ্টুমির মধ্যে আমরা
দু’জন কুড়িয়ে নেবো ছোটবেলার হারানো
বেলুন, খুপরির টেবিলে দু’পেয়ালা চা ঠাণ্ডা
হওয়ার পর আমরা আমাদের ঠোঁট ভেজাবো;
তোমার ছড়ানো উষ্ণতায় মাত্র একপ্রস্ত
মানবিক বস্ত্রই আমার জন্য যথেষ্ট তখন।
তোমার সাথে লং ড্রাইভে যাবো।
অনেক দিন আগের গল্প
অনেক দিন আগের গল্প
বাতাস প্রথম ভালোবেসেছিল ফড়িংয়ের ডানা
প্রকৃত কারণ সকলের ছিল অজানা
আমি বামন তবু যখন আকাশ ধরতে যাই
পাখির রাজ্যে পাখি খুঁজতে পাখি নয় ফড়িং হারাই
নিছক গল্প, সত্য না কল্প
মহাবিশ্বে এসবের মূল্য অল্প
তাও জানি। তবু ভয় তবু বিস্ময় কথায় কথা বাড়লে
কী এমন ক্ষতি রতিযাত্রায় সে বা আমি হারলে
বামে ভয় কেনোনা বামেই হৃদয়
‘দাস ক্যাপিটাল’ নামে সেখানে আজো রোদ ওঠে ঝড়
হয়
নটে মুড়োলো গল্প ফুরোলো।