আদিম মুখ অক্ষর চুম্বনে অমরত্ব এনে দিতে পারিস্তব্ধ করে দিতে পারি অমৃত যন্ত্রণাঅক্ষর চুম্বনে সৌরপ্রদেশের তরল সোনা আক্রমণ করতে পারিবিমূর্ত সম্ভাবনাময় উত্তেজনা ছড়িয়ে —মহাবিশ্ব থেকে শস্য সংগ্রহ করিসেই শস্যে জড়ো হবে অসংখ্য মুখ তুমি আর কতটুকু কষ্ট দিতে পারো সখাতোমার সম্বল মাত্র ওই একটা পৃথিবী আমার আছে মহাপৃথিবী একরাশ নক্ষত্র …

কবিতা : তৈমুর খান ১ পরাক্রম আগুন নেভাতে এসে দূরে দাঁড়িয়ে তাল ঠুকি আর ধোঁয়ার গম্বুজে উঠে আগুনের বউ আমাকে দেখায় লেলিহান জিভ ! ২ চৈত্রের চিঠি সাঁকোর পরে সাঁকো পেরিয়ে যাচ্ছি কত দূরে তুমি থাকো ? তোমার কাছে যেতে চাইছি খবর নাওনি, দুয়ার খুলে দাওনি হাওয়ায় উড়িয়ে চাদর ঢেকে …

কবিতা আমিনুল ইসলাম ১বিচ্ছিন্নতা প্রস্ফুটিত বসন্ত; কুহু কুহু–গাইছে কোকিলহলি ফ্যামিলি হাসপাতালের নবায়িত সবুজে;সে জানে না– তার গানে আজ কান নেই–ডাক্তার, নার্স কিংবা রোগীর! সে জানে না–আজ মানুষের অদ্ভুত আষাঢ় মাস–‘ওগো আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।’ তো আমরা বাইরে যাইনি; শাহাবাগ থেকেদোয়েল চত্বর, বোটানিক্যাল গার্ডেন হতেচন্দ্রিমা উদ্যান–সবখানেই আজ হাই তোলেআমাদের …

আমাদের চেনাজানা পথগুলো এতোদিনে বুনোফুল আর নাম না জানা লতায় ভরে গেছে নিশ্চয়ই ; কতোদিন তোর হাত ধরে সেই চেনা পথগুলোয় ঘুরিনি আমরা। যে পথ ছিল আমাদের সেই পথে কী এখন বুনোরুই,শিয়াল, খরগোশ নির্ভয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চাঁদরাতে। চাঁদরাত তো তোর খুব প্রিয় ছিল, তুই যেনো কেমন হয়ে যেতিস সেসময়। চাঁদরাতের …

এইবার বেঁচে আমি বেঁচে যাবো হাজার বার এইবার বেঁচে গেলে খোলা মাঠ হয়ে থাকবো দুই বছরবাতাস মেখে পাখি নামবেবৃষ্টি হয়ে মেঘ নামবেফসলে -ফসলে ভরে যাবে আমার বুক। যদি এইবার বেঁচে যাই ভালোবাসবো সকাল-বিকেলআদর গড়িয়ে পড়বে চোখে-মুখে।খোলা চুলের ভেতর হাওয়া খেলবে ইচ্ছের জলন্ত উনুন।কপালের চার আঙুল জায়গায় একটা মানচিত্র হয়ে যাবো …

ভয়ের কাছে নতজানু একাকী রাত্রি জাগে কর্ম ব্যস্ততাহীন বন্দর চারিদিকে নিস্তব্ধ চরাচর, তবুও ঘুমাইনি এশহর হায় ! ভালোবেসে নয় ভয়ের কাছে নতজানু আমি হৃদয়ের এই গোপন কথা, জানে কেবল অন্তর্যামী! ভেতরের কাদা আবহমান তোমার আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে আমার আকাশ ঝরায় অসময়ে বৃষ্টি ধোঁয়াশা আর কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ শীতল দিনে …

মানুষের গলায় ভাইরাসের অসুখ একজোড়া জুতা সমান্তরাল হাঁটতে হাঁটতে পায়ে চোরকাঁটার যন্ত্রণা পথচারীর চোখে সেবার মহাঔষধ থুতু লাগিয়ে সন্ন্যাসী মহাজন। লক লক করে বাড়তে থাকে সময় জীবাণুর জিভ লম্বা হতে হতে খামচে ধরে মানুষের বাত পিত্ত কফ শিরা ধমনির ভিতর দিয়ে যেতে যেতে আরও ক্ষুদ্র, সুক্ষ্মাতি সুক্ষ্ম কণা ভেঙে দেয় …

এক প্রতিটি ফুলই মৌলিক উপরন্ত ভাষান্তরহীন। হোক সে চন্দ্রমল্লিকা অথবা ধুতরা কিংবা কোন মানবী। গন্ধের কোন আল্পনা আঁকতে শিখিনি বলে পার্থক্যকে ভেবেছি ভয়ের কোন ব্রহ্মদৈত্য। দুই ঘাঢ় কাৎ হয়ে হেলে পড়া ঘাস আর ঘাসবিচালীর সঞ্চারিত স্পর্শ যাকে ছুঁয়ে দেয়নি সে কী বুঝবে দুল দুল দুলনীর ভেতর কীভাবে শিশিরে স্নাত হয়ে …

প্রেম আমাদের প্রেম আষাঢ়ে বিরামহীন বৃষ্টি শ্রাবণে অঝোর ধারা রাতে ফোটা শিউলী নয় ভোরে যে লুটায় হয়ে দিশাহারা আমাদের প্রেম নক্ষত্রের আলো রাতের আঁধার ভাঙা তারা জীবনের আলো হয়ে জ্বলে প্রণয় হৃদয় হরা। আমাদের প্রেম কচু পাতায় বৃষ্টির পানি নয় যায় না টোকায় ঝরে প্রেম ইটে চাপা ঘাস নয় নিরালোক …

সৌহার্দ সিরাজ-এর দু’টি কবিতা দূর সীমানার সেতারে পাখির কাছে ঋণী আমি নদীর কাছেও ঋণী তোমরা কী দেবে দাও, নিলামে কেনা হে ভালোবাসা আমি হাত পেতে আছি, কী দেবে দাও পৃথিবীর অজস্র রৌদ্র ও রাত্রির মুক্তি আমি চাই। মনে রেখ মানচিত্র রঙিন হলেও মাটির গন্ধ পাওয়াটা অনেক কঠিন সত্যশুদ্ধ আলিঙ্গন কখনো …