ছড়া

মুকুল শাহরিয়ার


মিল-অমিল
মায়ের সাথে চেহারাতে
আমার অনেক মিল ছিলো
আমার মতো মার গালেও
একটা ছোট তিল ছিল।
দুজনেরই মুখের আদল
লম্বাটে নয়, গোল ছিলো
হাসতে গেলে আমার মতো
মার গালেও টোল ছিল।
আমার মতো মারও ভাই
ছোট্ট খাড়া নাক ছিলো
মা-ছেলের এক চেহারায়
সবাই হতবাক ছিলো।
বাবার সাথে চেহারাতে
আমার অনেক ফাঁক ছিলো
এরমাঝেও দুজনেরই
মাথায় বড় টাক ছিলো।


মায়ের স্মৃতি
আঁধার ঘরের চাবি খুলেই মা দিয়েছে ডুব
এ অবেলায় তাকেই আমার পড়ছে মনে খুব
পড়ছে মনে রোজরাতে সেই ঘুমপাড়ানো গান
যে গানেরই সুরের মায়ায় জুড়িয়ে যেত প্রাণ।
পাঠশালাতে যাওয়ার পথে আদর মাখা চুম
পড়লে মনে দুচোখেতে ঘুম আসে না ঘুম
জ্যোৎস্নারাতে আকাশ জুড়ে লক্ষ তারার পাশে
আমার মায়ের মুখটা যেন ছবি হয়ে ভাসে।
মায়ের মুখের মিষ্টি হাসি দাম কতো ভাই, দাম-
পেতাম যদি লক্ষ টাকায় সেইটুকু কিনতাম
মা হারানোর কষ্টগুলো গুমরে ওঠে মনে–
ব্যথার ডাহুক ডুকরে কাঁদে নিত্য অকারণে।


মুকুল শাহরিয়ার
ছড়াকার, সম্পাদক
তাঁর ছড়ায় শিশু মনের উদাত্ত আনন্দ থাকে। তিনি লিখেছেন কম, রেশ রেখেছেন বেশি।
তাঁর একমাত্র শিশুতোষ ছড়ার বই ‘বেসম্ভব’ প্রকাশিত হয়েছিল ২০০০ সালে, অমর একুশে গ্রন্থমেলায়।