

খেরোখাতা
দিলরুবা

খেরোখাতা – ১
তারপর সারাবেলা হেলাফেলা, একে ছোঁয়া তাকে চাওয়া
সবখেলা সারা হলে দিনশেষে ঘরে ফেরা
মেঘ ছুঁয়ে ফিরে আসা নীল ঘুড়ি
কানে কানে বলে গেল তার কথা
মেঘ ভাসা নীল জলে যাকে আমি ছুঁয়ে থাকি…

খেরোখাতা – ২
কোন পুরুষের বাম পাঁজরের হাড়ে গড়া এ শরীর
সে চুলচেরা হিসেব কষে সময় নষ্ট করুক কোনো ধর্ম পণ্ডিত
যখন জানিই মনেমনে আমি বহুবল্লভা
তখন কী আসে যায় ওই মনভোলানো স্ত্রোকবাক্যে-
তারচেয়ে ডাহুক কিম্বা জলপিপি হয়ে সারা বিকেল
সাঁতার কাটি কলমিদামে
চড়ুইদের খুনসুটি দেখি গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে
তারপর ইচ্ছে হলে উড়াল দেবো পুবে অথবা পশ্চিমে
ক্লান্ত হলে জিরিয়ে নেবো নতুন কোনো দাঁড়ে
তারপর চলা আবারও চলা আত্মানুসন্ধানে…

খেরোখাতা – ৩
একটা নিখুঁত কবিতার শরীর গড়া হবে
তার জন্য কত্তো আয়োজন কত্তো শব্দ চয়ন
বারবার কাটাছেঁড়া সংযোজন বিয়োজন
হলুদ বসন্ত পাখির ডানায় চলকানো এক চিলতে রোদ
ভুল করে ছুঁয়ে যায় সদ্যোজাত কবিতার তুলতুলে শরীর
কবিতা ডানা মেলে উড়ে যায় আমাকে ফেলে
না কী আমাকেও জড়িয়ে নেয় আষ্টেপৃষ্টে
প্রতিটা অক্ষরে দাঁড়ি কমা পূর্ণচ্ছেদে
ঋণের বোঝা ভারী হয়
দিনগত পাপক্ষয়।

খেরোখাতা – ৪
হলুদের দাগ লাগা খেরোখাতার পাতাগুলো ফ্যানের বাতাসে উড়ছে ফরফর করে
দুই দেওয়ালের মধ্যিখানে একটুখানি ঝুল জমেছে
সেখানে মোটামুটি গুছিয়ে সংসার পেতেছে পেটমোটা এক মাকড়সা
যখনই চোখ যায়, দেখি ফ্যাকাসে একটা টিকটিকি
স্থির চোখে চেয়ে আছে সেদিকে
কে শিকার আর কে শিকারী বোঝা দায়।
সেকেন্ড মিনিট ঘণ্টার হিসেবে গোটাকতক দিন পেরোয়
পাওয়ার অফ,ফরফরানি বন্ধ করে খেরোখাতা স্থির
টিকটিকি আর মাকড়সার মধ্যে ফারাক এখন হাত-
খানেক
যেন দু পক্ষের দুই যুযুধান সৈনিক।
মাকড়সার জাল আকারে আর একটু বিস্তৃত
টিকটিকিটাও যেন গায়েগতরে বেড়েছে আর একটু
বলা নেই কওয়া নেই কোত্থেকে উড়ে এলো এক মথ
দুই সৈনিক ঝাঁপিয়ে পড়লো একসাথে
ফলাফল মহাশূন্য থেকে পতন খেরোখাতার স্থির পাতায়
দর্শকের আসন ছেড়ে কাছে যেতেই
রণে ভঙ্গ দিয়ে শিকার ফেলে শিকারী দ্বয়ের পলায়ন।
কিছু কালচে দাগ,ডানাভাঙা মথের ছটফটানি
আর পাতাজুড়ে গোটাগোটা হরফে লেখা একটাই লাইন
‘ তবে জানতে এটাই হবে শেষ পরিণতি ’।

খেরোখাতা – ৫
বড্ড দেরী হয়ে যাচ্ছে, বড় বেশি দেরী হয়ে যাচ্ছে
কতো কী বলার ছিলো তোমাকে, কিছুই বলা হলো না
কতো কী শোনার ছিলো আমার, কিছুই শোনা হলো না
বড়ো বেশি দেরী হয়ে যাচ্ছে
হিসাবনিকাশ আজ তোলা থাক কিছুক্ষণ
এসো, মুখোমুখি না পাশাপাশি বসে থাকি দু’জন
মৌনতায় মুখরিত হয়ে উঠুক চারপাশ
নদীর পাড় ভাঙার শব্দ ঢেকে দিক দোয়েলের শীষ
আরও বেশি দেরী হওয়ার আগে এসো এই স্তব্ধ বিকেলে
নিস্তরঙ্গ পুকুরের জল দুভাগ করে সাঁতরানো
একজোড়া সাদা হাঁসের জলকেলি দেখি।
আর সবকিছু মিথ্যে হয়ে যাক
মিথ্যে হয়ে যাক এই আবেগী মুহূর্ত, মিথ্যে হোক পাঁজর
ভাঙার শব্দ, দোয়েলের শীষ নিঃশব্দে খসে পড়া পাতার গান
শুধু বেঁচে থাক একজোড়া হাঁসের জল কেটে দুভাগ করে সাঁতরানোর এই দৃশ্য।


দিলরুবা
কবি, কথাসাহিত্যিক, আবৃত্তি শিল্পী
জন্ম : ১৩ মার্চ ১৯৭১
প্রকাশিত গ্রন্থ
কবিতার বই
মেঘ বালিকা
মনমাঝি

লেখকের আরও লেখা
tadalafil cialis tadalafil cialis
cialis without a prescription prescription tadalafil online
https://cialismat.com/ tadalafil price walmart
tadalafil dosage cialis cost
cost of cialis https://cialisbusd.com/
tadalafil order online no prescription tadalafil drug
cheap generic cialis for sale tadalafil brands
cialis at canadian pharmacy cheap generic cialis for sale
cheap cialis pills for sale best price usa tadalafil
tadalafil liquid buy tadalafil
buy tadalafil best price usa tadalafil
buy generic cialis online with mastercard tadalafil online with out prescription
cheap cialis pills for sale tadalafil price walmart
cost tadalafil generic tadalafil cialis
cialis cost cialis cost
tadalafil cialis at canadian pharmacy
cialis tadalafil buy generic cialis online with mastercard
lowest price cialis buy cialis
buy cialis pills https://nextadalafil.com/
tadalafil drug cialis tadalafil
modafinil 100mg cost modafinil online order modafinil price
buy provigil 200mg online cheap provigil 200mg for sale
buy modafinil online cheap purchase modafinil without prescription provigil 100mg without prescription
how Much Cialis Too Much?
how Soon Does Cialis Everyday Work?
how Cialis Works In The Body?
coursework masters
coursework science
coursework