যাপনের জীবন যাত্রা
ঋভু চট্টোপাধ্যায়

-তুমি আজ কিন্তু সন্ধেবেলায় বেরোবে না বাবা, আমাকে লগের প্রবলেম গুলো আরেকবার বোঝাতে হবে। কত দিন ধরে আমি বলে যাচ্ছি আর তুমি আজ নয়, কাল নয় পরশু নয় করে যাচ্ছ। ছোট বেলায় কি সুন্দর পড়াতে, এখন এক্কেবারে পড়াচ্ছ না। শুধু ফাঁকি দিচ্ছ ।
বাইরে এইমাত্র সন্ধেটা টলটল করে নামল, কয়েকটা পাখির কিচির মিচির শব্দ জানলা ভেদ করে ড্রয়িং রুম থেকে বেডরুম ছুঁয়ে কিরকম চুপ করে গেল।নিচে রোলের দোকানের ছেলেটাও উত্তাল মশলা মেশাচ্ছে। এই সময়টাতেই মশলা মেশায়, মশলা সন্ধা।মাঝে মাঝে তন্বি অথবা অনিমেশ নিজে গিয়ে রোল, মোগলাই কিনে আনে।বিশেষ করে তন্বি যেদিন কিছু পড়া দেখাবার কথা বলে সেদিন তো বেশি করে।আগেই ওকে টাকা দিয়ে বলে, ‘যা নিয়ে আয়।’
অনিমেশ একটু আগেই গল্পটা শেষ করেছে। একটা মানুষের হাত কাটার গল্প। আচ্ছা গল্পের লোকটা কি অভিশাপ দিল।
লিখে একটা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছিল, অন্য কেউ বুঝতে পারেনি।পারবেই বা কিভাবে, কাউকে বলেই নি গল্প লিখেও ভালো হজম হয়, একটা লম্বা শ্বাস নেওয়া যায়। কেউ একজন কানের কাছে মন থেকে বলে,‘ওরে ভালো হল রে বেশ ভালো।’গল্পের চরিত্ররা কি বোঝে?মনে হয় বোঝে, না হলে কেউ এমন ভাবে অভিশাপ দেয়! শুধু এই গল্পটা নয় এর আগেও অনেক গল্পে এই রকম হয়েছে। তখন কিন্তু এই রকম সংসারে আমাশা ছিল না।জীবনের একটা শ্বাস নেওয়া যেত, একটা আরাম ছুঁয়ে যেত শরীর, মুগ্ধতা বাসা বাধত চোখের কোণে।
-বাবা, তুমি কিন্তু ফাঁকি দিচ্ছ, তোমাকে কবে থেকে বলে যাচ্ছি, আমি এবার কিন্তু মাকে বলে দেব।
-না না, বাবু কাউকে বলতে হবে না, আজকের সন্ধেটাই লাস্ট।গল্পটা পাঠিয়ে দি, তারপর তোকে বোঝাবো, যা বলবি।
-এটা তুমি একমাস ধরে বলে আসছ কিন্তু সরি টু সে সময় আসেনি তোমার।
অনিমেশ আর উত্তর দিতে পারল না। আজকের সভাটাতে যেতেই হবে।কয়েকটা পত্রিকা হাতে পেতে হবে।না হলেই সমস্যা হয়ে যাবে। একটা পত্রিকা তো অনিমেশের বাসা ছাড়া এ’ডাল ও’ডাল ঘুরে বেরাচ্ছে। যন্ত্রণার একশেষ। আজকের সন্ধেটাতে যদি ঘরে ফেরে, কিন্তু সমস্যা আরেকটা আছে।
-বাপি!তুমি কি বসবে, না মাকে বলব?
-ছেড়ে দে, তোর বাবাকে বলতে হবে না।আমার রান্নাটা সেরে বসছি।শুধু টাকাটা এনে দিয়েই তো ওর দায়িত্ব শেষ। বাকি স্কুল, টিচার, টিউটার কোনটা দেখেছে? কোন দিন পি.টি মিটিংএ গেছে?জানে আগের ক্লাসে কোন স্যারের কাছে টিউসন পড়তিস? কিছু বললেই তো একটা বাক্য, ‘আনছে কে?’
ওপাশে বকবক নন স্টপ। একটা বাসের কন্ডাকটরের সাথে কথা বলতে হবে। বেশ চেল্লাবে ননস্টপ।খোলা জানলার এধারে বাইরের অন্ধকারের বুকে চোখ রেখে অনিমেশ তখন দাঁড়িয়ে ছিল। সেই কবি লোকটা ঠিকই বলেছিল। ‘আমাদের স্বর্গ নেই স্যারিডন আছে।’ আমরা পাত্তা দিই নি।কেন দেব এক একটা গাছ কলম হয়, পুরো আকাশটা পাতা, নীল আকাশ নীল পাতা, ওপারে কালো মেঘ, মেঘ কি অনিমেশেকে চেনে, না হলে এমন বুকের বমিকে কিভাবে জড়ো করে?জীবনটা এক্কেবারে পায়খানা হয়ে গেল।সংসারের দু’শ ষোল।
মুখ ঘোরাতেই বউ হাজির, শাড়িতে রুটি তৈরীর স্মৃতি লেগে। এই মেয়েটা কেমন বদলে গিয়ে ভদ্র মহিলা হয়ে গেছে। বিয়ের আগে সেই জল ছাড়া ফুচকা আর অফিস ফেরত ক্লান্ত বিকালে বাবুঘাটের পচা সন্ধের মাঝে বসে অনিমেশ বলে উঠত,‘ওয়েল নাও/ইফ লিটিল বাই লিটিল ইউ স্টপ লাভিং মি/আই স্যাল স্টপ লাভিং ইউ লিটিল বাই লিটিল।’
-কথাগুলো তোমার না নেরুদার?
-সময়ের কথা।
-মানে?
-মানে না বাক্য রচনা।
-হেঁয়ালি ছাড়ো।
-হেঁয়ালির ইংরাজি জানো?স্কুলে পড়তে এক স্যার একটা অদ্ভুত হেঁয়ালি বলেছিলেন। সুখবাদের হেঁয়ালি, ইংরাজিতে প্যারাডক্স অফ হিডোইসম।দ্য বেস্ট ওয়ে টু গেট প্লেসার ইস টু ফরগেট ইট।
-তুমি ওসব ছাড়ো তো, সুস্থ কথা বল।
তন্দ্রার কি এইসব মনে পড়ে?নাকি চাকরি ছাড়বার সাথে সাথে গল্প কবিতা সব মেয়ের খাতা, বই আর স্কুলের মধ্যে ঢুকে গেল। মানুষটার কি আর কোন রোমান্টিসিজম নেই?কে’জানে মেয়েদের সব রোমান্টিসিজম মনে হয় বিয়ের আগেই থাকে, পরে শুধু হিসাব নিকাশ। সেটা চচ্চড়ি হোক বা শাড়ির দোকান। প্রতিটা সন্ধ্যাতে যদি এমনি ভাবে ম্যানিকিওর করতে হয় তাহলেই তো ব্যাস।
ঐ গল্পটা এমনি ভাবেই শুরু হলে ভালো হত, এই লোকটার হাত আছে কিন্তু হাত নেই, তার মানে ক্ষয়ে ক্ষয়ে এক্কেবারে নুন হয়ে গেছে। এবার লঙ্কা তেল ঝাল মাখো আর হাপুস মারো।চরিত্রটা ভালো। অনিমেশ তো নিজেও একটা চরিত্র। হাত আছে কাজ নেই, পড়া আছে তো লেখা নেই।নাকটা জানলাতে ঠেকালে বাতাসের ছোঁয়া পাওয়া যায়, আরাম আসে।শরীরে ক্ষণিকের শান্তি, এমনিতে ঘর বাড়ি কি রকম দম বন্ধ করা। একপাশে মেয়ে অন্য পাশে মা। কয়েকদিন আগে একটা সভাতে কি একটা ঢোকাতে গিয়ে মেয়ের অঙ্কের বইটা বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগে ঢুকিয়ে দিলেও তার মধ্যে টিপ্পনী চলে আসে,‘তাহলে তোমার গল্প এখন বেশ মোটা হয়ে গেছে।’
-কি চোখ!শালা। এ’যেন সেই সমুদ্র সৈকতে কারোর স্নান দেখার জন্য বসে থাকা। কখন কার কি বেরিয়ে চিচিং ফাঁক।সবাই সামলে নেয়, তার মধ্যেই খিচিক, রেটিনা একটা ছোট্ট করে মেরে দেয়।
-না মানে মেয়ের পরীক্ষা তো তাই নিজেকে একটু দেখতে হয়।
আপনাকে একটা গল্প দেবার কথা বলেছিলাম, পেলাম না।
-একটু ব্যস্ত আছি কয়েকটা লেখা চলছে, সামলে নিয়ে দেব।
লেখা!সব গল্প, কবিতা এখন পিছন দিয়ে বেরোচ্ছে। সকালে অফিস, সন্ধায় মেয়ে। কোথায় পড়তে যাচ্ছে, দিয়ে এস, নিয়ে এস। তার পর বাকি দোকান, বাজারের পরেও আজ ফিজিক্সের হিট বোঝাও, কাল কেমিস্ট্রির ও.এইচ মূলক বোঝাও। উফঃ। একদিন বলা হল বাবু অনেকদিন পড়াশোনা নেই, ভুলে গেছি, টিউসন দিয়ে দিচ্ছি।
-টিউসন! স্ট্রেঞ্জ বাবা, কি হবে টিউসনে?আর ভুলে যাবার কথা বলছ, কেউ ভোলে না বাবা, প্র্যাকটিস নেই সেটা বল।
-বেশ প্র্যাকটিস নেই, হোল এবার ছাড়।
-প্র্যাকটিস করে নাও। অফিসেও তো কাজ করছ।আর সব ফ্রেণ্ডসদের পেরেন্টসরা পড়ায়। তুমি পড়ালেও অসুবিধা তো নেই।
-তোর বাবার সময় কোথায়? কাফকা, কামু ব্যোদলেয়ার এনাদের প্রেতাত্মা নাড়া চাড়া করতে হবে। ‘আচ্ছা অনিমেশ কাফকার দুটো আইসোটোপ সরালে কামু হয়, ব্যোদলেয়ার কত আম্পিয়ারের বাল্ব জ্বালিয়ে লিখতেন তুমি জানো?’
-স্টপ ইট! অনেক হয়েছে এর থেকে আর বেশি সহ্য করতে পারব না। তোমাদের সব কিছু তো করে যাচ্ছি।
-সবাই করে গো।
মাথাটা একটু ঘুরে গেল।বয়সটা এক্কেবারে ভালো নয়। এই অসময়েই যত রোগের বাসা।কয়েকদিন আগেই পাওয়ার শপের বোসদা অফিস থেকে ঘরে গিয়েই ফুস। এক্কেবারে বাষ্প। আমার শালা আত্মাটাও বিষাক্ত মাল। একটু যে তাড়াতাড়ি যায়, সেটা না। আচ্ছা এই মুহূর্তে মরে গেলে স্বর্গ না নরক? নরক নিশ্চয়। ওখানে গিয়ে একটু ভালো করে পড়া যাবে? ও শিট।আবাণ্ডান অল হোপ ইয়ে হু এন্টার হিয়ার। তার মানে নরক আমিই, আমিই নরক।
জানলার সামনে দাঁড়াতেই আকাশে এক খণ্ড চাঁদ চোখে পড়ল। বেশ একা আছে মালটা, জ্বালানোর কেউ নেই। খুব শান্তি। এখানে রাতদিন ভ্যাচর ভ্যাচর।
-ঠিক আছে, একমাস সময় দে, একটু পড়ে নি।
-কখন পড়বে বাবা, অফিস থেকে ফিরে তো তোমার ঐ মোটা মোটা সাহিত্য তত্ত্ব আছে, ফিজিক্স পড়লে তোমার লিটারেচারের ফিসক্যাল ডিপোসিট ভরবে কি ভাবে?
-যত বাজে কথা বার্তা। তুইও তোর মায়ের মত হয়ে গেছিস, সব সময় খালি ঢিস ঢিস।
আচ্ছা তন্দ্রার কি মনে নেই, একদিন ভেসেলে ভাসতে ভাসতে অনিমেশ বলেছিল,‘ভালোবাসা কখনও অজর হয় না, সময়ের সাথে বড় হয়, বুড়ো হয় তারপর ঝরে যায়।টিকে থাকে ছায় ধুলো বালি।’সেদিন তন্দ্রা রেগে গেছিল,‘বাজে কথা,কত কবি প্রেমের অমরত্বের কথা লিখে গেছেন।’
-ভুল ভুল সব ভুল।একটা ইক্যুয়েশন সবটাকে ধরে রেখেছে।ব্যালেন্সে রেখেছে। একটা সরাও টলমল টল টল।
-তুমি কি ভাঁটের লেখো বলতো, কোন রস নেই, কোনো রোমান্স নেই। ভাসছ নদীতে, সন্ধা নেমেছে। পাশে প্রেমিকা আর তুমি বলছ প্রেম, ভালো বাসা, সব…।
একটা সিগারেট খাওয়া যাক। সুজয়কে একদিন একটু বসবার জন্য বলতে হবে।বেশি নয়, চারপাঁচ জন।কোন এক সন্ধেবেলা অফিস থেকে বাড়ি না ফিরে চলে যাওয়া যাবে, ছোট কিছু আনতে বলব। অল্প হবে, দু’পেগ।চলছে না আর, এরকম চলবেও না। বিকাল বিকাল খেয়ে ঘন্টা দুই বাইরে থাকতে হবে, গন্ধ নিয়ে বাড়ি ঢুকলে সব রোমান্স বেরিয়ে যাবে।
-বাবা তুমি একটা পুরোনা ফিজিক্সের বই কিনে নিয়ে পড়বে। আমি চ্যাপ্টার গুলো বলে দেব।
এবার শ্বাস কষ্ট হচ্ছে।মেয়েটা এর মধ্যেই রাত জেগে পাশের রুমে পড়ে।এই রুমে অনিমেশ, কোলে পিজিক্স, বিছানায় কোন দিন ম্যাথ কোন দিন ক্যামিস্ট্রি। স্টুডেন্ট লাইফে শালা এতটা পড়া হয় নি। তখন অবশ্য মা বলত। বাবা কোন দিন এই সব বিষয়ে আলোচনা করেনি মা বুঝত লোকটা সারাটা দিন খেটে খুটে আসে একটু নিজের মত থাক। বাবা পাশের একটা ক্লাবে তাশ খেলতে যেত, মা পড়ার ঘরে হুট করে এসে দেখত পড়ছি কিনা, না পড়লে চুল টানা হত। কোন কোন দিন বই বুকে করেই শুয়ে পড়ত। এখন!
বুক সেল্ফে মোটা ভারি ভারি বই আশে পাশে ধুলো। ধুলোরে তোরাই বই দ্যাখ, বই পড়।
তন্দ্রা প্রায় দিন মেয়ের কাছেই শুয়ে যায়, এ’ঘরে একা অনিমেশ। কোন কোন দিন এইঘরে এলেও শান্ত, নির্বাক একটা ছায়ার মত। আসে শুয়ে পড়ে অনিমেশ গায়ে হাত দিলেই এলার্ম বাজে, ‘ভোরে উঠতে হবে।’ ও সোনা তোমার কত গুলো ভোর গো, সেই কবে থেকে তো এই কথাই শুনে আসছি।
এখন সবাই ভাসে। এপাশ ওপাশে মহাকাশে। এদিকে ওদিকে দুটো কাল্পনিক শরীর। কথা আছে ব্যথা নেই, ধরা আছে ছোঁয়া নেই। সত্যিই সবাই রোমান্টিক শুধু বিছানায় দুটো ছায়ার মাঝে ফিজিক্স আর ক্যামিস্ট্রি।
না থাকলে ভালো হত?একদিকে মেয়ে অন্যদিকে মা। এটা কি সিসিফাস স্ট্রাগল না টাগ অফ ওয়ার? এর থেকে ঐ সন্ধা গুলো ভাল, অন্তত শ্বাস নেওয়া য়ায।কয়েকটা সুন্দরী ইদানিং আসছে, কবিতা গল্প পড়ছে। চোখের সামনে সেই নৌকা, চারপাশের সন্ধ্যার মাঝে প্রেম গন্ধ। দারুণ, এর থেকে ভালো কিছু হয় না। আড্ডা ভালো। সব ছেড়েও কিছু আলোচনা তো হবে, না হয় রুমকির সাথে এক আধটু কথা হবে। মেয়েটি অসাধারণ লিখছে। গল্পের মধ্যে এক জলন্ত উনুন, কেমন যেন লোম গুলোও পুড়তে আরম্ভ করে। বলে কিনা, ‘তোমার আর আমার পাল্টাপাল্টি করলে হয় না?’
-আমাদের দেশে? পিটিয়ে পায়েস বানিয়ে দেবে। তারথেকে এই ভালো। আচ্ছা রুমকি কি অনিমেশের লোমের গল্প শোনে? যে ভাবে হাহাকার নৌকা খোঁজে অথবা একটা ছায়া, একট মোছা ঘাম, এক কাপ চা, নাকি কয়েকটা বছর ধরে বিছানার এক কোণ থেকে বেরিয়ে আসা এক চাপা শূন্যতার জন্য তৈরী জায়গার একটা মলম? কে জানে? তবে এই থিয়োডেমটা কেউ জিজ্ঞেস করলেই সমস্যা।
তার থেকে অনেক সহজ হল এই এক’পা একটু লিফ্ট দেওয়ার মধ্যে একটু আলতো ছোঁয়া, অথবা কয়েক কদম হেঁটে পৌঁছে যাওয়ার পর মা আর মেয়ের থেকে কয়েক যোজন দূরে একটু শ্বাস নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করা। একটা ছোট্ট ঘর, প্রচুর বই, কাগজ কলম, ও অনিমেশ এখন ল্যাপটপে লেখে। আর একজনকে চায় প্রতি ঘন্টায় এসে জিজ্ঞেস করবে– একটু চা দেব?

tadalafil online mexico
order cialis from mexico
tadacip 10 mg
prednisone 10mg cost
ventolin for sale online
buy ivermectin pills
cialis|buy cialis|generic cialis|cialis pills|buy cialis online|cialis for sale
cialis|buy cialis|generic cialis|cialis pills|buy cialis online|cialis for sale
viagra
cialis mexico over the counter
tadalafil 10mg daily
viagra cheap online
how to get female viagra pills
otc cialis us
buy tadalafil 20mg online
india pharmacy cialis
tadalafil price
trazodone tablet 100mg
synthroid 35
ivermectin tablet 1mg
lioresal 20 mg
buy bactrim canada
robaxin otc in canada
prinivil 10 mg tab
anafranil coupon
anafranil sale
ivermectin 3 mg dose
sildenafil pharmacy
acyclovir 200 buy
can you buy diflucan over the counter
tadalafil soft tablets 20mg
ivermectin 5ml
viagra cheap canadian pharmacy
brand cialis
stromectol tablet 3 mg
sildenafil cost canada
cost of albuterol inhaler
cost of ivermectin
stromectol tab 3mg
stromectol pill for humans
amoxicillin 775 mg
singulair from canada
generic levitra online uk
buy acyclovir 800 mg
medrol 4 medicine
buy cheap viagra pills online
sildenafil 10 mg price
viagra miami
sildenafil 50mg canada
canadian viagra cheap
can i buy viagra without prescription
online tadalafil canada
can you purchase viagra online
ivermectin 4000 mcg
albendazole brand name canada
ivermectin 6mg
how to get viagra prescription in canada
order nexium online
motilium 30 mg tablets
buy ivermectin for humans australia
ivermectin virus
viagra 6800mg
viagra without a doctor
sildenafil 100mg from india
stromectol covid 19
india cialis
stromectol sales
prescription metformin from canada
elimite medication
buspar online uk
buy terramycin
priligy online paypal
canadian cialis cheap
viagra generic europe
tadalafil drug generic drug
where can you buy viagra in south africa
diclofenac 35 mg capsule
buspar 300 mg
hydroxychloroquine 700mg
zovirax cold sore
female viagra in canada
sildenafil 12.5 mg
This design is steller! You certainly know how to keep a reader amused. Between your wit and your videos, I was almost moved to start my own blog (well, almost…HaHa!) Wonderful job. I really enjoyed what you had to say, and more than that, how you presented it. Too cool!
You have remarked very interesting details! ps nice site.
Would love to forever get updated great web site! .