মাদুর : মৌলীনাথ গোস্বামী

গ  ল্প

মাদুর

মৌলীনাথ গোস্বামী

মাদুর বুনছে ধর্মসংকটের বউ। ঠিক বুনছে না। মেরামত করছে। অনেকটা অংশ ছিঁড়ে গেছিল মাদুরটার…

সুবল ঘরামির প্রিয় ছিল মাদুরটা। তার বউ নির্মলারও। এ-গ্রাম, সে-গ্রাম ঘর ছাইয়ে ফিরে এলে, দাওয়ায় মাদুর পেতে দিত সুবলের বউ। বসে জিরাত সে। গামছা দিয়ে বুকের ঘাম মুছত। তালপাতার হাতপাখায় হাওয়া খেত। পিঠ চুলকাত পাখার ডাঁটি দিয়ে। আদা আর ভেজা ছোলা দিয়ে মুড়ি মেখে দিত নির্মলা। চাপাকলে হাত-মুখ ধুয়ে খেতে বসত সে। নুন আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে বড় তৃপ্তি করে খেত সুবল।

বিকেলের এই সময়টা বড় ভালো লাগত নির্মলার। মাদুরে মুখোমুখি বসে মুড়ি চিবোতে চিবোতে, সারাদিনের গল্প বলত সুবল… খড়ের গল্প, বাখারির, ঢেউটিন, কাদা মাটির…. নির্মলা অবাক হয়ে শুনত, কীভাবে বাঁশ, কাঠ, কাদামাটি, নলখাগড়া দিয়ে একচালা দোচালা ঘর তৈরি হয়… ঘরের ছাদ ছাওয়া হয়। লোকে বলত, সুবল সাক্ষাৎ বিশ্বকর্মা! কতও নামডাক ছিল ওর। আশেপাশের গ্রাম থেকে লোক এসে, বায়না করে যেত। কাছাকাছি পাড়া হলে, দিনের কাজ সেরে, বিকেলে ঘরে ফিরে আসত সে।

দূরের গ্রাম হলে ফিরতো না। ঐখানেই রয়ে যেত। একদিন, দু’দিন, তিনদিন… তারপর ফিরে আসতো। এক রাত্তির ঘরে কাটিয়ে, আবার চলে যেত। তারপর পুরো কাজ শেষ হলে, একদিন নির্মলাকে অবাক করে, ঘরের দাওয়ায় এসে বলিষ্ঠ অথচ মোলায়েম গলায় হাঁক পাড়ত…  নি-র্ম-ল…!

এইরকম না-থাকার দিনগুলোয় প্রথম প্রথম বড্ড একা লাগত নির্মলার। তখন কত বয়স হবে… সতেরো কী আঠারো। সদ্য বিয়ে হয়ে আসা বউ। কত কল্পনা, সাধ-আহ্লাদ, আবদার! অথচ শূন্য ঘর, শূন্য দাওয়া, শূন্য মাদুর, শূন্য বিছানা… অসহ্য লাগত তার! ভোরে ঘুম ভাঙা থেকে, রাতে ঘুমাতে যাওয়া অবধি প্রতিটা মুহূর্ত বিস্বাদ মনে হতো। তারপর অতর্কিতে এসে, মানুষটা যখন দাওয়ার কাছে দাঁড়িয়ে, ভালোবাসার নাম ধরে ডাকতো– চমক লাগত তার মনে! বিবর্ণ জীবন এক লহমায় ভালোলাগায় ঝলমল করে উঠত… এক ছুট্টে দাওয়ায় দৌড়ে যেত নির্মলা! সুবলকে দেখে গাল লাল হয়ে যেত লজ্জায়। চোখ নামিয়ে নিত সে। সুবল বড় সোহাগ করত তাকে। সংসারে বৈভব বা প্রাচুর্য বলতে কিছুই ছিল না, কিন্তু সুখ ছিল অঢেল।

সুবলকে যমজ সন্তান দিয়েছিল নির্মলা। ফুটফুটে, গোলগাল দু’টি দেবশিশু। একটি ছেলে, একটি মেয়ে। নির্মলা ডাকত, খোকা আর খুকি। গুটগুট করে ঘরময় ঘুরে বেড়াত। দাওয়ায় চড়াই আর শালিকের সঙ্গে খেলা করত, বেড়ালদের সঙ্গে চটকাচটকিতে মেতে থাকত দু’টিতে। হেঁটো ধুতি মালকোঁচা মেরে, আদুড় গায়ে, বাপের ঘাড়ে চড়ে বসত খোকা, আর খুকি বাপের কোলটিতে সেঁধিয়ে মিশে যেত। কানায় কানায় ভরা ছিল নির্মলার জীবন।

সেই ভালোবাসার মানুষটা একদিন ভিন গাঁয়ে কাজ করতে গেল…

আর ফিরল না!

প্রথমে বুঝতে পারেনি নির্মলা। একদিন, দু’দিন, তিন, চার… ছয় দিনের মাথায় আর থাকতে পারেনি সে। ভয়ংকর এক অশুভ চিন্তা মাথায় নিয়ে, কাঁদতে কাঁদতে, দু’বছরের ছেলে-মেয়ে দু’টির হাত ধরে, দিশেহারা হয়ে ছুটে গেছিল মোড়লের কাছে। আশেপাশের গ্রামগুলিতে বিস্তর খোঁজাখুঁজি হয়েছিল বটে, কিন্তু লাভ হয়নি। মানুষটা যেন কপ্পুরের মতো উবে গেল! যে গ্রামে বায়না ছিল, সেখানেও খোঁজ করা হলে জানা গেল, সুবল এসেছিল, কাজ শুরুও করেছিল, কিন্তু মাঝপথে কাজ ফেলে চলে যায় সে। সুবলের দলের স‍্যাঙাতরা ভেবেছিল, সে বাড়ি গেছে, তাই খোঁজ নেয়নি। নির্মলা আর তার সন্তানদের মুখ চেয়ে, গ্রামের সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সুবল-উদ্ধারে; কিন্তু জ্যান্ত সুবলের খোঁজ কেউ দিতে পারেনি। অবিশ্যি তার লাশেরও না। দাওয়ার খুঁটি ধরে বসে, শুধু নীরবে চোখের জল ফেলত নির্মলা। খোকা-খুকিও বোধহয় বুঝেছিল, কোথাও কিছু একটা ঠিক নেই। ওরাও কেমন নিষ্প্রাণ হয়ে গেছিল। মায়ের গা-ছুঁয়ে শূন্য দৃষ্টি নিয়ে বসে থাকত তারা…

ঘটনার আকস্মিকতায় বোবা হয়ে গিয়েছিল নির্মলা। চুপ করে গেছিল পাথরের মতো। কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না এই পরিণতি। তখন নির্মলার চারিদিকে অথৈ জল। এই দু’টো বাচ্চাকে নিয়ে কী করবে, কোথায় যাবে, কেমন করে দিন কাটাবে! খোকা-খুকিকে বুকে টেনে, দিনরাত চোখের জল ফেলত সে। বাড়িটা যেন গিলে খেতে আসত তাকে। মানুষটা যে গেল… কোথায় গেল? কেন গেল?- তার কোনও ব্যাখ্যা ছিল না তার কাছে! কোনও উত্তর ছিল না। উত্তর খোঁজার শক্তিও ছিল না তার। তখন শুধু এক চিন্তা, ছেলেমেয়ে দু’টির মুখে কী তুলে দেবে! পেট বড় বালাই যে… দুঃখও মানতে চায় না!

সময় তো কারও জন্য থেমে থাকে না। নির্মলা বা তার সন্তানদের মুখ চেয়েও থামেনি। আজ প্রায় দু’বছর হয়ে গেল, থেমে যাওয়া জীবন নির্মলা কীভাবে পার করেছে, সেই কেবল জানে। কী দুর্বিষহ দিন! সুবলের সঞ্চয় বলতে যা ছিল, সব তার চোখের জলের মতো শুকিয়ে গেল একদিন। দাঁতে-দাঁত চেপে শুরু হলো নির্মলার আরও কঠিন বেঁচে থাকার লড়াই। ঘরে চাল নেই, ডাল নেই, সামান্য আলু-পেঁয়াজটুকুও নেই। কেনবার সামর্থ্যও নেই। খোকা-খুকির মুখ চেয়ে, লজ্জার মাথা খেয়ে, প্রথমবার পড়শির কাছে ফেনাভাত চাইতে গেছিল সে। বড্ড আত্মসম্মানে লেগেছিল। তবু তো একটু নুন দিয়ে মেখে, গ্রাস তুলে দিতে পেরেছিল ওদের মুখে। জল ঢেলে কিছুটা রেখে দিয়েছিল, রাতে ওদের দেবে বলে। নিজে সারাদিন কিছু খায়নি। সেই প্রথম, একটা গোটা দিন অভুক্ত ছিল নির্মলা। মাথা ঘুরে গেছিল পরদিন সকালে। বুঝেছিল, এভাবে দিন কাটবে না। রোজ কেউ খাবার জোগাবে না। পয়সা চাই। উপার্জন করতে হবে।

কিন্তু গাঁ-গঞ্জে চাইলেই উপার্জন করা যায় না। পাশের গ্রামে অনিল কুমোরের বাড়ি কাজ নিল নির্মলা। বলা ভালো, পেয়ে গেল। চেনা ঘর। একবার অনিলের একটা দো’চালা ঘর ছেয়েছিল সুবল। বড় ব্যবসা কুমোরের। বায়না প্রচুর, কিন্তু কাজের লোকের আকাল। তার নিজেরও বয়স হচ্ছে। নির্মলার কাতর মিনতি ঠেলতে পারেনি অনিল। ধুতির খুঁটে চোখ মুছে, কাজ দিয়েছিল তাকে। কাজ পেয়েছিল বটে নির্মলা, কিন্তু আয় ছিল খুব সামান্য। তবুও সেটাই ছিল তার বাঁচার খড়কুটো… দু’বেলা, দু’মুঠ ভাত তো ছেলেমেয়ের মুখে তুলে দিতে পারবে! সেই শুরু হল নির্মলার আর-এক জীবন… আর-এক অধ্যায়… টাকা মাটি, মাটি টাকা!

বাচ্চা দু’টোকেও সঙ্গে নিয়ে যেত। কোথায় রেখে যাবে তাদের! কার জিম্মায়? নির্মলার সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে যেত দুই ভাইবোন। কুমোরের বাড়িতে একটু কাদার তাল দিয়ে, বসিয়ে রাখত তাদের। ওরা আপন মনে সেই কাদার তাল নিয়ে খেলত। এটা সেটা বানাতো, ভাঙতো, আবার গড়তো। কুমোর-গিন্নি, সানকিতে মুড়ি-বাতাসা, জল দিলে, খেয়ে নিত তারা। তারপর মায়ের কাজ শেষ হয়ে গেলে, দু’টিতে মিলে মায়ের হাত ধরে, ফিরে আসতো। নির্মলা বিকেলে উনুন ধরিয়ে, ভাতের ফ্যান গালতে গালতে, ঢুলে ঘুমিয়েই পড়তো দু’টিতে। ঘুম-চোখে, পালা করে করে, খাওয়াতো নির্মলা। তারপর নিজে পেটে যাহোক কিছু দিয়ে ঘুম। কিন্তু ঘুম যে তার আসে না… চোখ বন্ধ করলেই, ওই মানুষটার মুখ ভেসে ওঠে! কোথায় আছে মানুষটা? কেমন আছে? আদৌ আছে কি! শিউরে ওঠত নির্মলা!! চোখের কোণ বেয়ে জল গড়াত নিঃশব্দে…… সব থেকে বেশি করে যে প্রশ্নটা পীড়া দিত, সেটা এই যে, সুবল চলে গেল কেন? তাও একেবারে হঠাৎ! না জানিয়ে! নির্মলাকে নিয়ে ওর কি কোন সমস্যা ছিল! এমন কোনও সমস্যা, যেটা সুবল মুখ ফুটে কখনও বলতে পারেনি? সম্মানে বড় লেগেছিল নির্মলার। কোথাও মনে হয়েছিল, সুবল যা করেছে, তা এক প্রকার অপমান। কিন্তু সুবল কী করেছে?– সেটাই পরিষ্কার ছিল না নির্মলার কাছে। গোটা গ্রামের কাছে।

দু’-বছর বাদে যখন অনেকটা থিতিয়ে এসেছে সে, একটা চিঠি সব ওলটপালট করে দিল। জীবনে প্রথমবার কেউ চিঠি লিখেছে তাকে। সকালে কাজে বেরোবে, এমন সময় পিওনকাকা এসে, খুশিতে চিৎকার করে জানাল…

‌‌‌– সুবলের চিঠি এসেছে বউ!
— সুবল বেঁচে আছে!
— আগামী আশ্বিনে আসবে লিকেচে সে…!!

নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারেনি নির্মলা! হাতে একখানা পোস্টকার্ড ধরিয়ে, পিওনকাকা সাইকেলের ঘণ্টি বাজিয়ে চলে গেল। অপ্রত্যাশিত সংবাদের আনন্দে, উত্তেজনায়, হাত কাঁপছিল নির্মলার!

সুবল বেঁচে আছে! বেঁচে আছে! বেঁচে আছে!

বারবার এই কথাটাই তোলপাড় করে দিচ্ছিল নির্মলার বুক। সুবল ফিরে আসছে। তা-র সুবল ফিরে আসছে। আর ক’টা দিন মাত্র। নির্মলার হৃদয় উথালপাথাল। কষ্টের দিন শেষ হলো বুঝি। ডুকরে হাউহাউ করে কেঁদে উঠল নির্মলা… আজ আর তার কান্না বাধ মানল না। কোথায় ছিল এতো চোখের জল! কান্না যেন থামতেই চায় না। মায়ের কান্না শুনে খোকা-খুকি এসে, মায়ের শাড়ির সাথে মিশে যেতে চায় যেন… কাঁদতে কাঁদতে ওদের জড়িয়ে ধরে, দাওয়ায় বসে পড়ল নির্মলা…

অনেকক্ষণ পরে কান্নার রেশ কমে এলে, নিজেকে সংবরণ করল সে। স্থির করল, আজ আর কাজে যাবে না। ছেলেমেয়ে দু’টিকে গত রাতের ভেজাভাত, নুন আর পেঁয়াজ দিয়ে মেখে দিলে সে। পরিপাটি করে শাড়ি পরলে। চুল আঁচড়ালে ভালো করে, সময় নিয়ে। আজ যেন শাড়িটা গুছিয়ে পরতে ভালো লাগল তার। এতকাল শাড়ি পরতেও অনীহা ছিল। পরতে হয় তাই পরা। সিঁদুরটাও আজ সিঁথিতে দিতে বড় আরাম বোধ করল সে। তাদের মাটির ঘরের একমাত্র আসবাব সেই মাদুরটা, আজ প্রায় দুই বছর হল, গুটিয়ে ঘরের এক কোণে দাঁড় করানো ছিল। খুলে মাটিতে বিছিয়ে, বুনতে বসল ধর্ম-সংকটের বউ। ঠিক বুনছে না। মেরামত করছে। অনেকটা অংশ ছিঁড়ে গেছিল মাদুরটার… মাদুরের ক্ষত সেলাই করছে সে। আ-বা-র বিকেলে বসা হবে একসাথে। কিন্তু নির্মলা বড় আনমনা হয়ে আছে। স্বামীর ফিরে আসার খবরের উচ্ছ্বাস থিতিয়ে গেলে, তার মনে অদ্ভুত দোলাচলের সঞ্চার হলো। যে লোকটা কিছু না বলে, এতো নির্দয়ভাবে, তার স্ত্রী আর ফুটফুটে দু’টি দুধের শিশুকে অসহায় অবস্থায় ফেলে চলে যেতে পারে, তার জন্য আনন্দ করবে কি করবে না! কেন চলে গেছিল? এতদিন কোথায় ছিল? কার সঙ্গে ছিল? কী এমন হলো যে আবার ফিরে আসতে হল সুবলকে? “দু’-বছরের পরিত্যক্তা”- তকমাটা নির্মলার আত্মসম্মানকে প্রবলভাবে ছিন্নভিন্ন করতে লাগল। সুবলকে আবার গ্রহণ করবে কি করবে না, করলেও কতটা করতে পারবে– এই সংশয় তাকে ক্রমাগত বিদ্ধ করছিল!

মাদুরের ক্ষত তো মেরামত হয়ে যাবে, কিন্তু তার জীবনের মাদুরে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, তা কি আর কোনওদিন মেরামত করা যাবে?

এক নিশ্চল ধর্ম-সংকটের মধ্যে, মাদুর বুনে যেতে লাগল নির্মলা…

This image has an empty alt attribute; its file name is 23579pppp-Copy.jpg

About Mangrove Sahitya

দেখে আসুন

যাপনের জীবন যাত্রা : ঋভু চট্টোপাধ্যায়

যাপনের জীবন যাত্রা ঋভু চট্টোপাধ্যায় -তুমি আজ কিন্তু সন্ধেবেলায় বেরোবে না বাবা, আমাকে লগের প্রবলেম …

60 কমেন্টস

  1. Khondkar Khosru Parvez

    মাদুর এক অদ্ভুত আকর্ষণে টেনে নিয়ে গেল শেষ অব্দি। খুব খুব ভালো লাগল। কবিতার মত সুন্দর একটি গল্প পড়লাম। গল্পকারকে ধন্যবাদ।সম্পাদককে শুভেচ্ছা।

  2. #2454;]এন্টিডিটেক্ট পদ্ধতি সহ নিরাপদ ব্রাউজারের বড় আপডেট

    এখনই এন্টিডেটেক্ট ব্রাউজার ছাড় ডাউনলোড করুন

    #2438;মি]জিমেরার কাজ ক্রিপ্টোগ্রাফির নীতির উপর ভিত্তি করে, যা ডিজিটাল আঙ্গুলের ছাপগুলিকে বিভ্রান্ত করা এবং প্রতিরোধ করা সম্ভব করে তোলে
    তাদের দর্শকদের কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং সংকলন থেকে সাইটগুলি

    আমাদের সুবিধা!
    #2438;মি]
    – প্রোফাইল তথ্য আপনার জন্য একটি সুবিধাজনক ভাবে সংরক্ষণ করা যাবে. পছন্দ একটি ডাটাবেস বা আপনার নিজের ডিভাইস.
    – বিভিন্ন ডিভাইসের তথ্য একে অপরের সাথে সিঙ্ক্রোনাইজ করা হয়.
    – মোটামুটি সঠিক ম্যানুয়াল সেটিংস সম্ভাবনা-আপনি প্রক্সি সেটিংস, সময় অঞ্চল, ব্রাউজার সনাক্তকরণ স্ট্রিং এবং আরো অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারেন.
    – একাধিক কাজের পরিবেশ তৈরি করতে অ্যাক্সেস.
    – ভুল পাসওয়ার্ড এন্ট্রি ক্ষেত্রে হ্যাকিং এবং ফুটো থেকে সিস্টেমের সুরক্ষা.
    – এনক্রিপ্ট করা প্রোফাইলের ক্লাউড স্টোরেজ
    – উইন্ডোজ বা লিনাক্স ব্রাউজারের মাল্টিপ্লাটফর্ম সংস্করণ
    – ডিভাইসের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্টের স্বয়ংক্রিয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রজন্ম এবং আরও অনেক কিছু

    শুধুমাত্র এই মাসের শেষ পর্যন্ত সমর্থনের সাথে যোগাযোগ করার সময়, নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য 50% ছাড় প্রদান করা হয়

    এবং একটি নতুন ব্যবহারকারীর প্রতিটি অর্থপ্রদানের 40% পর্যন্ত অর্থপ্রদান সহ সমস্ত ব্যবহারকারীর জন্য একটি অনুমোদিত প্রোগ্রামও রয়েছে!
    আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্প্রদায়ে যোগ দিন, জিমেরা ব্রাউজারের সাথে নিরাপদ বোধ করুন
    নিবন্ধনের জন্য আপনার প্রচার কোড 897958

  3. filters designed to streamline your search. Each pallet comes with detailed descriptions and accompanying images, enabling you to make informed decisions based on your preferences and needs.
    At Liquidation Pallets Near Me, we pride ourselves on delivering exceptional customer service. We offer secure payment options for a hassle-free buying experience, and our reliable shipping services ensure your pallets are swiftly delivered right to your doorstep. Our dedicated support team is always available to address any questions or concerns you may have, ensuring your satisfaction every step of the way.
    Unlock the potential for substantial savings and exciting product discoveries by visiting our website today. Liquidation Pallets Near Me is your trusted partner in acquiring top-quality pallets at unbeatable prices. Don’t miss out on this opportunity to revolutionize your shopping experience. Start exploring now and embark on a journey of endless possibilities!

  4. Котирующаяся на Nasdaq Bit Digital выпустила финансовый отчет, согласно которому доход майнинговой компании в 2022 году составил $32,3 млн. За отчетный период Bit Digital добыла 1247,5 BTC, а также 294,3 ETH еще до перехода Ethereum на алгоритм консенсуса Proof-of-Stake.

    Криптообмен

  5. xmr to btc – convert cryptocurrency, cryptocoin exchange

  6. cryptocurrency exchanges – crypto currency exchanges, bitcoin mixing service

  7. Холодная погода наступает, а значит пришло время задуматься о том, как обеспечить теплом свой дом. Как знать, может быть у вас уже есть система отопления, но она старая и неэффективная, либо вы еще не сделали выбор в пользу определенного типа обогрева. В любом случае, компания “Теххолод” предлагает вам решение проблемы – газовые напольные котлы для домашнего отопления.
    Почему мы рекомендуем газовые котлы? Во-первых, это самый эффективный способ отопления. Газовые котлы имеют высокую степень эффективности, что значит, что большая часть газа, который вы используете, будет превращаться в тепло, а не уходить в атмосферу. Это означает, что вы экономите деньги на счетах за газ и одновременно получаете более комфортную температуру в доме.
    Во-вторых, газовые котлы очень удобны в использовании. Они требуют минимального ухода и обслуживания, что значительно экономит ваше время и силы. Кроме того, у газовых котлов низкий уровень шума и они не выделяют запаха.
    Ну а почему именно напольные котлы? Существует несколько причин. Во-первых, они лучше распределяют тепло по всему дому, так как находятся вблизи распределительной системы отопления. Во-вторых, такие котлы не занимают много места, что очень важно для небольших помещений.
    напольные газовые котлы отопления ростов на дону. Компания “Теххолод” предлагает широкий выбор газовых напольных котлов различных производителей и мощностей. Мы гарантируем вам качественный продукт и наша команда опытных специалистов проведет инсталляцию быстро и качественно.
    Заключение – если вы ищете надежную, эффективную и удобную систему отопления, то газовые напольные котлы от компании “Теххолод” являются отличным решением. Не откладывайте покупку на потом, забронируйте свой заказ уже сегодня и наслаждайтесь комфортной температурой в своем доме в любое время года!

  8. Medicament information sheet. Drug Class.
    lyrica tablet
    Some what you want to know about medicine. Get information here.

  9. crypto converter – coin mixer, bitcoin exchange comparison

  10. My new hot project|enjoy new website
    http://pornstoriesoral.danexxx.com/?post-marilyn

    fresh and ripe porn sexual positoins shown by porn romantic gay porn long sleeping porn free hot porn sites

  11. Обзоры бытовой техники на сайте solend.ru помогут сделаь правильный выбор среди тысячи предложений

  12. why does cialis cause back pain cialis website cialis 5mg vs 10mg

  13. 0 respectively, and life threatening Grade IV cases reported in 0 buy cialis cheap The first couple days the drug worked

  14. The facts of this case are a composite, drawn from several cases to illustrate medical and legal issues viagra manufacturer As glamsparkle mentioned there is a few things you can do, these include

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *