
সৌহার্দ সিরাজ
কবিতার সূচি
তোমার হাতে সাগর আকাশ রবীন্দ্রনাথ । ভেসে যায় নক্ষত্র বিভা । বন্ধু । শ্রাবণ-রাত্রি ও কামনাশিল্পের রঙ । বাঙালি বাঙলা পৃথিবী আমার । মেঘ-শ্রাবণে রোদের লাবণ্য । বজ্র ইন্দ্রের হাতে । হে অটল পুত্র আমার । এ কেমন রঙের প্রলেপ । যুগান্তরের ঝড়ের অট্টহাসি

তোমার হাতে সাগর আকাশ রবীন্দ্রনাথ
তোমার হাতে আকাশ তুলে দিলে
ভালো থাকে মাটির মায়া সোনালী মেঘ
নিরাপদে নির্ভাবনায় আমরা সবাই ভালো থাকি,
ভালো থাকে দোয়েল পাখি
বৃষ্টিভেজা সকালগুলো ভালোবাসে।
অবাক করা বিকেলবেলা
হাকেডাকে গাছগুলো সব সবুজ আদর
সবুজ হৃদয় জুড়ে মেঘমল্লার ঢেউ তুলে যায়
শ্রাবণ কেঁদে নগর ভাসায়
বেশ থাকা যায়, বেশ।
নোংরা জলের বন্যারা সব
লোভী শেয়াল নেকড়েরা সব
তোমার নামে ডাইনে বামে, রবীন্দ্রনাথ
পুব-পশ্চিম, উত্তর মেরু, মিথ্যাবাদী
নকল রাজা
সবাই নত এক ডাকে যে!
তোমার হাতে সাগর তুলে দিলে
ঝলসে ওঠে হাজার আলো
ফুলগুলো সব সারি বেঁধে হেসে ওঠে ভুবনজোড়া
নতুন ধারার সুরের পাখি সৃষ্টি রসে ভরিয়ে দেয়
ক্লিষ্ট জীবন।
তোমার হাতে আকাশ তুলে দিলে
আমরা থাকি অন্য রকম
সবুজ থাকি সারা বছর সবুজ পাতার মতো।
২৫.০৮.২০১৯

ভেসে যায় নক্ষত্র বিভা
বুকের দুধারে নিরেট গদ্য
মাঝখানে বয়ে যায় নদী
স্বপ্নের নদীগুলো হাত ফসকে
এধার ওধার
অথচ তাদের পক্ষে সপ্ত পুরুষ
পা রেখে মেঘমণ্ডলে যুদ্ধের সাজে প্রস্তুত।
কাদাখোচা শামুক শঙ্খল চেনো নাকি সুজন সাধক
তৃপ্তি সন্ন্যাস নিলে কী থাকে বাকি
তুমি কি জানো
পৃথিবীর শেষপ্রাম্তে জমা হয় কার চিৎকার
অদম্য অন্ধকার বিনাশের হাত ধরে লোকালয়ে হেঁটে আসে!
নৈরাজ্য সহোদর হলে ভেসে যায় নক্ষত্র বিভা
যক্ষের ধন লুটে নেয় নিরীহ জীবন
মাটি তখন কাঁদতে বসে বিষন্ন বারান্দায়।
১৮.০৯.২০১৯

বন্ধু
বাবা মায়ের আদুরে এক সন্ধ্যায় দুজন কোলাকুলি করে
উপস্থিত সকলকে সাক্ষী রেখে,
আকাশ-বাতাস,নদী-জঙ্গল,
দুই সম্প্রদায়ের দুই জন মহান সৃষ্টিকর্তাকে সাক্ষী রেখে
এবং দুই ধর্মের মহান আদর্শকে সাক্ষী রেখে অতপর আমরা বন্ধু হলাম।
তখন এত ছোটো যে, এই ধর্মীয় বন্ধুত্বের মানে কী জানতাম না,
এত বড় হয়েও আজও এর মোজেজা জানা হয়নি।
এমন কি আমি বড় না কি বন্ধু
অথবা বন্ধু বড় না কি আমি
সে হিসাবও অমীমাংশিত হয়ে আছে আজও।
বন্ধুর এক মেয়ে দুই ছেলে, নাতি খেলতে শিখেছে, ছেলেরা ছোটো।
আমার দুই ছেলে। পড়ালেখার শেষ পর্যায়ে।
পঞ্চান্ন বছর পেরিয়ে আমরা এখন সীমান্তে ধাবমান
অথচ বন্ধুত্বে আমাদের তেমনই নতুন আবেগ, আগের মতোই।
এদেশ সেদেশ ঘুরে বন্ধু আমার ঘরের বারান্দায় এখন শান্ত
আমি দূর দেশে।
আমার বন্ধুর নাম কৃষ্ণপদ ভঞ্জন, আমি
অনামী উৎসবের ঘোড়া— বন্ধনহীন, দিকভ্রান্ত
ভালোবেসে বেসে ঠকে যাওয়া নিয়তি আমার।
বন্ধু আমার একটু কথা বলে বেশি,
এত দ্রুত আর ঘন বলে
এত তার্কিকভাবে ও তাত্ত্বিকভাবে বলে
এত সুন্দর গুছিয়ে বলে যে
অভিজ্ঞ অধ্যাপকও অবাক হবেন।
বন্ধু এখন অন্ধ হয়ে সারাদিন একা একা কথা বলে। সে কথায় আকাশ দুলে ওঠে
সে কথায় সমুদ্র স্থবির হয়ে যায়।
গ্লুকোমা তার চোখের আলো কেড়ে নিয়েছে।
০৪.০৮.২০১৯

শ্রাবণ-রাত্রি ও কামনাশিল্পের রঙ
সহজে রাত্রে আমার ঘুম আসে না।
সারাদিনের অংকের সূত্র রাতে মেলাই
সারাদিনের সুচীপত্র রাতেই সাজাই।
কোলাহল নিবৃত হলে জগতের
একা একা জীবনের নানা রঙ নিয়ে বসি,
তারপর অংক শেষে—
অহংকার ও আনন্দ
জিজ্ঞাসা ও ভুল
একসংগে আমার ভেতরে জলযোগে বসে,
কিছুটা বিশ্রাম তখন অদৃষ্ট থেকে ধার পেয়ে যাই।
সেদিনও ঘুমাইনি আমি।
হঠাৎ শুনলাম— আকাশ কাঁদছে ;
থমকে গেলাম, আকাশ কাঁদবে কেন?
অন্ধকার সাথে নিয়ে বাইরে এসে দেখি—
মাটি কাঁদছিল আকুল হয়ে,
মধ্য শ্রাবণের দাবদাহে তার বুক—
বিদীর্ণ হাহাকারে
সহমর্মী আকাশ শ্রাবণের স্বরলিপি মেনে
ঢালছে গায়ে তার জীবনরসের ধারা
ঘরের টিনের চালের মৃদঙ্গ তখন দ্রুত লয়ে।
পায়ে পায়ে ফিরে এসে উদ্যানে
মেঘকে বলেছি সুহৃদ! তুমি আমাদের বন্ধু হয়েছ
এইভাবে এই উদারতায় দিয়ে যেও উর্বরতার হিরন্ময়ী আলোর রাস্তার মুখ।
আকাশ নামছে নামুক
মাটি শান্ত হোক; গর্ভবতী হোক,
সৃষ্টির আনন্দে সুফলা হোক তার কামনাশিল্প।
০৮.০৮.২০১৯

বাঙালি বাঙলা পৃথিবী আমার
কাঁদছো কেন? ফস্ কে গেছে পা?
বুঝতে পারো নি তো!
প্রথমে বোঝা যায় না।
পা ফেলার আগে ভাবতে হয়
কোন দিকে যাব, কেন যাব, কতটুকু।
তারপরের পদক্ষেপ তো অনেক সতর্কতায়,
পথের প্রতিবেশও মাথায় রাখতে হয় বৈকি।
লোভ থাকা ভালো, তবে তা বেশি কখনও নয়
হিংসার বাড়ি জেনো আরও এক ধাপ নিচে
বড় বেশি নিশ্চিন্ত হওয়া ভালো কাজ নয়।
কখনও তো ভাবোনি আগে ; কি আগে
ধর্ম নাকি জাতীয়তা
স্বদেশ সংস্কৃতি নাকি স্বর্গপল্লীর উর্বশী।
এখন ভাবতে হবে মা আগে নাকি মাসি
মাতৃভাষা আর মাতৃভূমি গেলে মানুষের কি আর থাকে বাকি।
শূচি-শুভ্র মন নিয়ে কৌশল রচনা করো,
জিততে হবে।
ভুলে গেলে চলবে না—
পরাধীন হয়েছিলাম বটে পরাজয় মানিনি।
আমাদের বিশ্বাসে ঐক্যের মৃদঙ্গ বাজে
শপথে বজ্রের নৃশংস ইস্পৃহা ।
জাগো বন্ধু, স্বজন সুহৃদ
বাহুতে যুদ্ধের শিল্প জাগাও
বলো—আমরা বাঙালি, অনার্য, গঙ্গাঋদ্ধি জাতির উত্তর পুরুষ
বলো আমরা ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকী বিনয় বাদল দীনেশ,
আমরা বাঘা যতীন আমরা সূর্য সেন সুভাষ বোস বরকত রফিক শফিউর শেখ মুজিব
মাছ ভাত খাই, খর্ব দেহ
আমরা বন্যা ও ঝড়ের প্রবল সহোদর,
বীরের রক্তস্রোতে আমরা চির অকম্প,
ইতিহাসে আমরাই গড়েছি প্রতিরোধের অটল পাহাড়
আমরা হারতে শিখিনি।
আর যদি কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করো
ভেসে যাবে, ভেসে যেতে হবে
মহাকাল আঙুল উচু করে আছে।
এসো বন্ধু বাঙলার শ্যামল যুবা
সমস্বরে বলো—
বাঙালি বাঙলা পৃথিবী আমার
কোনো শাহ-বাদশার আবদার আমরা মূল্যবান ভাবি না।
১৭.০৯.২০১৯

মেঘ-শ্রাবণে রোদের লাবণ্য
বর্ষকালে বর্ষা নেই!
দুপুর পুড়ে চৌচির,
গোধূলির শরীর আবার পোকার দখলে,
যারা যারা জানালা বন্ধ রেখেছিল
তারাও এখন খুলে দিয়ে আকাশ দেখছে,
চমৎকার!
আসলে হচ্ছেটা কী!
তাহলে কি বজ্রমুড়ি ধান এবার হবে না!
শারদীয়া পুজো, জগন্ময় মিত্রের গান,
আখ-লেবু, মেলার বাঁশি,
যাত্রার আসরের হুড়োহুড়ি
কাদা মাখামাখি—বৃষ্টি না হলে চলে?
আমার বন্ধু নিতাই কবিরাজ শ্রাবণ মাথায়
আমাদের বাড়ি আসত,
তার কী হবে ?
আকাশ! তুমি দরজা খুলে দাও
ওরা আসুক, মেঘেরা ভিজিয়ে দিয়ে যাক
রোদের লাবন্য।
২০.০৮.২০১৯

বজ্র ইন্দ্রের হাতে
আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকো না
আকাশের কোনো ক্ষমতা নেই
বজ্র ইন্দ্রের হাতে।
তামাশা দেখছে অন্ধকার
তারাগুলো না খেয়ে খেয়ে ধুকছে জয়ধ্বনির বারান্দায় কে কি করবে!
সবারই বাজারের ব্যস্ততা।
নিজে ভালো থাকতে হলে অন্যকে নাচাও
ঠকাও এবং কাঁদাও
এই নীতিতে চলছে এখন বাজার,
বাজারে ফাঁকা ফাঁকা বিকেল,
বিকেলে পার্ক এবং বিশ্বাস ভীষণ একা।
সকালের ঘাড়ে চড়ে পার হচ্ছে দিন
অবশ্য দু নৌকোয় যাদের পা তাদের কোনো চিন্তা নেই,
তারা শুধু কি আর ঢোল
সাথে এবার খোল-করতাল-কাশিও বাজাবে
নাচাবে অযোধ্যা মধ্যমগ্রাম।
ঈশ্বরী পাটনির খেয়া—
ছেড়ে গেছে অনেক আগে
তাই এ পারের সমুদ্র উচু আর ওপারে
পাহাড় মালভূমি এক সমতলে,
নিজের ভালো কি মানুষ কখনও বুঝবে না?
আকাশের দিকে তাকিয়ে কী হবে!
আকাশ কিছু করবে না
বজ্র ইন্দ্রের হাতে।
বরং হাতে তুলে নাও বজ্র নিরোধ শপথ
হৃদয়ের রক্তক্ষরণ রেখে ধবল জোছনা আর দূরত্বের সংগ্রামে যুগ পেরনো গল্পগুলো কাছে রাখো
থাকুক না বজ্র ইন্দ্রের হাতে
মানুষই যে শ্রেষ্ঠ সবার—
সে অহংকার কেন পুষে রাখো না!
ইন্দ্রের চেয়ে মানুষ শক্তিমান, জানো না!
প্রেম আর বুদ্ধির পরম্পরায় গোটা পৃথিবী মানুষের করতলে।
আকাশের দিকে কেন তাকিয়ে!
কেন ইন্দ্রের পথ চেয়ে!
ইন্দ্রের বজ্র মানুষের স্বার্থে নয়
নিজকে তৈরি করো।
১৬.০৯.২০১৯

হে অটল পুত্র আমার
(মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী শহীদ আব্দুল হামিদ, লাল সালাম)
সব পাখি উড়ে গেলে
পড়ে থাকে মাটি ও মায়া
পৃথিবীতে তখন মুখোমুখি হিসাবে বসে
অমাবস্যা ও দুপুর,
হে উদাস অপরাজিতা বলো
কে শোনে তখন বাতাসের দীর্ঘ এলিজি!
আত্মার ভ্রমনে আমরা কি যাইনি কখনও
পলেস্তারা খসে যাওয়া বিস্মৃতির নগরে?
হইনি কি মাটির ময়নার গান?
ইতিহাসের অধীর আলো?
কতজন খুঁজে পায় জয়
থামে না জীবনের ক্ষয়
বিভোর শুক্লা তিথি মানে না তো পরাজয়!
বন্ধন ছিন্ন হয়ে কার আশ্রয়ে
মেঘেরা খেলা করে অন্তিম বাসনায়
দীর্ঘ প্রশ্নরা মানুষের মুখে মিথ ছুড়ে দেয়!
লাল-সবুজের পতাকা!
তুমি কি রেখেছ মনে বীরের আকাশ!
নম্র গোধূলি
রক্তবর্ণ নদীর আত্মদান এবং নিস্তব্ধ রাতের আর্তনাদ!
অথবা কলকণ্ঠে আটকে রাখা গঙ্গা- বুড়িগঙ্গার ঢেউ!
তিরিশ কিংবা তারও অধিক মানুষের মহিমান্বিত ত্যাগ!
আভূমি নত এই সবুজের ঘ্রাণ
ভাসমান তীরের হাতে মাটির চুম্বন
হে মাটির নিমগ্ন পুত্র! আমরা ভুলিনি
তুমি ভুলো না,
বাংলাদেশের অগ্নিপুরাণ প্রাত্যহিক জীবনের সাথে
জড়িয়ে রেখেছে তোমাদের প্রীতিকণা—সুবোধ আগুন।
হে অটল বীরপুত্র আমার
আভূমি কুর্ণিশ কি নেবে না তুমি!
২৩.০৮.২০১৯

এ কেমন রঙের প্রলেপ
‘এ পৃথিবী যেমন আছে ঠিক তেমনই রবে
সুন্দর এ পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে।’
— বিজয় সরকার
বর্ণিল জীবনের মায়া কাটিয়ে
এক অচেনা অন্তহীন পথে যাত্রা শুরু শিল্পী জলিলের।
পিকাসো কি এখনও জেগে?
মোরগ ডাকেনি, আযান একটু পরে
জলিল যে চলে যায় ভাঙনের পথ ডিঙিয়ে!
অবর্ণনীয় রঙের বিচিত্র বিভবে প্রোজ্জ্বল মৃত্যুশিল্পের কাছে
সকল জীবনের আত্মসমর্পণ—
এ সত্য মেনে নিয়েই শিল্পীর
আরেক রঙের পৃথিবীর অন্বেষণ শুরু;
এবার যেন এক অনন্তের আয়োজন
জীবনের বিচিত্র রঙের মিশেলে
কত ছবি এঁকেছিলে শিল্পী তুমি
মননের পৃথিবীতে!
আজ যুদ্ধে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে
বিধ্বস্ত হয়ে
ভাসিয়ে দিয়ে গেলে সবকিছু তার
অবিশ্বাস্য অবলীলায়!
জীবন স্রোতের উজানে মিশে
মনোকাব্যের অস্ফূট বয়ান
শেষ অশ্রুবিন্দু
জমা করে দিয়ে গেলে মলিন প্রভাতের হাতে
যেখানে ভাঙা মৃদঙ্গের মতো
নিজেদের চোখের সামনে নিজেরাই
শোকে ডুকরে উঠছে ভালোবাসা হারানো স্বজন সুজন,
পৃথিবীর শেষ সিড়িতে দাঁড়িয়ে
এ কেমন রঙের প্রলেপ দিয়ে গেলে জীবনের মুখে!
রঙের পৃথিবীর জলিল!
মৃত্যুশিল্পই কি তোমার ঈষিকায়
শেষ চারুতার টান!
তোমার অপ্রত্যাশিত প্রস্থান
এক অভূতপূর্ব শূন্যতায় আমাদের নিপতিত করে গেল
স্তব্ধ আমরা, হতবাক এবং স্থাণু।
আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা তুমি গ্রহণ করো শিল্পী।
২২.০৮.২০১৯

যুগান্তরের ঝড়ের অট্টহাসি
একদা এক সমান্তরাল দিনে
অমিত শক্তির এক ঝড় এসেছিল
সহমর্মিতার এই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশে।
সে ছিল এক প্রবলতর ঝড়
ভয়হীন, দুর্দম।
কাউকে মানে না
লণ্ডভণ্ড করে সব
মিথ্যুক ও দুরাচার, ভণ্ড ও নিপীড়ক
উপনিবেশবাদী প্রভু, স্বদেশি দালাল
কাউকে ছাড়ে না।
সে ঝড় এখনও এদিকে তাকিয়ে
মানুষের দুর্দশা,অনিয়ম আর অহমিকা দেখে
সে ঝড় আবারও উদ্ভাসিত হতে চায়
বিপন্ন এই দেশে।
এ ঝড় সব সময় আসে না
মাঝে মাঝে; বিশেষ সময়ে
জাতির ক্রান্তিকালে আসে
জাতীয় দুর্দিনে আসে,
আসে আর ভাসায় দু’কুল।
এ ঝড়ের নাম কাজী নজরুল ইসলাম
অগ্নিবীণা ও বিষের বাঁশি,
এ ঝড় ধূমকেতু ও প্রলয় শিখা,
এ ঝড় বিদ্রোহী কবিতার রণহুংকার
কামাল পাশা ও সব্যসাচী
এ ঝড় পদ্মার ঢেউ,দোলনচাঁপা,
কুমারীর বেণী,বাঁধনহারা।
দুঃখধরার বিপুল স্রোতে
তার চেতনার সুপার পাওয়ার বজ্র বহন করে
যুগান্তরের রেঁনেসা তার বুকের মাঠে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে
মনের গোপন মন্ত্রগুলোয় ভয়াল তেজের রুদ্রের আস্ফালন
মানুষের মঙ্গল চিন্তাই কেবল তার জীবনগল্পের মূল উপাসনা।
কবি তিনি মহান পুরুষ
তার ঝাকড়া চুলে সিন্ধু দোলা গভীর অকপট
ভাঙনরেখার কেন্দ্রবিন্দু সকল কালের— তিনিই নটবর।
ভোরের আলো, পুরবী রঙ পুণ্যের হাতে ধরা
ঝুলে পড়া নির্জনতায় বউ কথা কও ওড়া
পাটভাঙা রঙ ছড়িয়ে পড়া মনের সৌকর্য
যেন কবির চিরকালের স্বপ্ন-সবুজ রাখী।
ঝড় আসবে,আসুক না ঝড়
সে ঝড় জমজ স্বজন আমাদের
আমরা আছি ঝড়ের প্রতীক্ষায়
ঝড়ের সাথে বদলে নিতে
পায়ে পায়ে হেঁটে এসে ঠোটের ধুলো
শুষে নেয়া জীবন সুধায়, আমরা আছি।
কবি তুমি সত্যিই এসো আবার
ঢেউ দিয়ে যাও, ঝড় তুলে যাও
নৃত্য-পাগল ছন্দে
অপেক্ষাটা দুলছে দেখ
ভোরের হাওয়া দুলছে দুলুক
প্রতিশব্দ যেটাই বলুক
শালুকগন্ধী নূপুর যখন বৃষ্টি ছটায় বাগেশ্রী হয়
আমরা তখন অযুত মানুষ
ছন্নছাড়া, গৃহহারা, ঠাণ্ডা মাথায় সর্বহারা
নামবো পথে নামবোই ঠিক
তখন দেখ কেমন করে উল্টে যায়
রাজার আসন,শাসন ত্রাসন গোল্লায় যায়
যুগান্তরের সন্দীপনে হেসে ওঠে ঝড়ের অট্টহাসি।
২৬.০৮.২০১৯


সৌহার্দ সিরাজ
গাজী শাহজাহান সিরাজ লেখালেখি করেন সৌহার্দ সিরাজ নামে
জন্ম : ১৬.০৯.১৯৬৩ পাইকগাছা,খুলনা।
প্রকাশিত গ্রন্থ
অন্তরে অন্তরীক্ষ (১৯৯৮) । অরণ্যে এক পশলা রোদ (২০০০) । দূরায়ত নদীর পদাবলী (২০০৮) । ভেঙে পড়া হঠাৎ আলো (২০১৩) । শুভেচ্ছার পদচিহ্ন ফেলে (২০১৭) । মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস (২০১৭) । বাকি অংশের অপেক্ষায় (২০১৮)
উভয় বাংলা থেকে ২১টি সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন।
সম্পাদনা : ‘সৌম্য’-এর ২১ সংখ্যাসহ অদ্যাবধি বিভিন্ন লিটলম্যাগের ১১৩ টি সংখ্যা।
https://cialisicp.com/ buy tadalis
tadalafil price walmart cost tadalafil generic
tadalafil drug cialis at canadian pharmacy
tadalafil cost walmart generic tadalafil from uk
lowest price cialis cheap generic cialis for sale
https://cialisicp.com/ cheapest tadalafil cost
tadalafil where to buy generic cialis online safely
where to order tadalafil tablets tadalafil dosage
generic cialis online fast shipping cheapest tadalafil cost
cheap cialis pills for sale tadalafil drug
tadalafil daily online https://cialisvet.com/
where to buy tadalafil on line tadalafil order online no prescription
where to get tadalafil tadalafil cialis
I was trying to track down a post about that.
https://cialisicp.com/ cheap generic cialis for sale
https://extratadalafill.com/ side effects of tadalafil
cost of cialis tadalafil brands
where to buy generic cialis online safely cheapest tadalafil cost
cost modafinil 100mg order modafinil online
how Much Is Cialis With Medicare?
how Long Does Cialis Work?
purchase provigil
how Much Does Cialis Cost Without Insurance?
generic provigil
what Do Higher Doses Of Cialis Do?
how Long Does Cialis 20 Mg Last?
i Took 20mg Of Cialis. How Long Before I Can Take Another One?
dapoxetine priligy To ensure approximately equal participation of men and women, a stratified probability sampling algorithm was used