কবিতা
খসরু পারভেজ
নদীর গল্প
নদীর জায়গা থেকে নদীরা এখন চলে গেছে বহুদূর। ভয়াল থাবায় নদীদের নিয়ে গেছে সময়ের নিষ্ঠুর যাদুকর। দূরে কোথাও পাহাড়ের উল্টো দিকে, যেখানে মানুষ নেই, কান্নার কোবাব শহরে। সেখানে এখন শ্বেত ভাল্লুকের ঘর। ফসিলের উল্লাস শুধু।
নদীরা এখন আর সাগরের কাছে নেই। ওদের যৌবন লুট করে নিয়ে গেছে জলদস্যু-জলচোর। ওদেরকে নিঃস্ব করে ফেলে রেখে গেছে ভূমিদস্যু-দালাল আর সীমানার সীমাহীন শত্রুরা। নৌকা, বৈঠা, নাইয়া, নায়ের বাদাম, উজানের গুন টানা দিন, এসব কিছু মিলেই অভাগা নদী। সেই নদীর সবটুকু আমি সযত্নে লুকিয়ে রাখি বুকের ভেতর। ওরা জেগে থাকে,কখনো ঘুমিয়ে থাকে জীবনের জাদুঘরে।
আমি যেখানে যাই, সেই বেদনার্ত নদী আমার সঙ্গে থাকে অথবা আমি নদীটিকে বুকে নিয়ে ঘুরি। তোমরা দেখ, আমি হাঁটছি অথবা ছুটছি, বাজারের থলে হাতে অঘোরে ঘামছি; তখনো আমার সাথে অনেক নদী, নদীর অনেক অনুষঙ্গ হাঁটতে থাকে, ছুটতে থাকে।
যেখানে যাই না কেন, শপিংমল, খেলার মাঠ, মন্দির,
মসজিদ, সিনেমা হল,কবিতা উৎসব,আর্টগ্যালারীতে,
লিটল ম্যাগাজিন সম্মেলন, সেমিনারে; নদীকে কখনো ফেলে যাই না আমি। যখন বিমানে অথবা ট্রেনে কোনো দূরপাল্লায়; ঢাকা, দিল্লী,কানাডা, চীন, যেখানেই যাই,
নদীকে ফেলে আমার যাওয়া হয় না কখনো। নদীরা আমার সাথে হাসে, খেলে, ঘুম পড়ে, খুনসুটি করে।
আমি নদী নিয়ে বসে থাকি
দুঃখের খেয়াপারে,
নদীই তখন গান ধরে
পার করো আমারে।
আমি যখন সমুদ্রের কাছে যাই। পুরী, কক্সবাজার অথবা ম্যারিনা বীচের কাছে অথবা আটলান্টিক, লোহিত সাগরের পাড়ে। হাওয়ায় হাওয়ায় আমি তখন দুলতে থাকি। আর নদীরা তখন অঝোরে কাঁদতে থাকে। ওদের কান্না মুছাতে মুছাতে আমার রুমাল ও
পকেটে রাখা টিস্যু সব শেষ হয়ে যায়। তবুও ওদের কান্না থামে না। তখন আমিও ওদের সাথে কাঁদি।
কাঁদতে কাঁদতে নদী ও আমি একাকার হয়ে যাই।
কবির কফিন ঘিরে
[বিপ্লবী কবি পাবলো নেরুদার মৃত্যুদিনকে মনে রেখে ]
মানুষের শৃঙ্খল মুক্তির জন্য
তুমি পরার্থে ছুঁড়ে দিয়েছিলে জীবন বৈভব
ফ্যাসিস্ট দানব তা ঠিকই বুঝেছিল
হয়তো ওরা তোমার হাতে শেকল পরাত
নিক্ষেপ করতো কারাগারের কঠিন প্রকোষ্ঠে
কবির সম্মান হয়তো ঈশ্বর বুঝেছিলেন
তাই তার আগেই মৃত্যুকে পাঠিয়ে
রক্ষা করলেন তোমার সম্মান
চিলির বারুদ মাখা বাতাসে মিলিয়ে গেল শেষ নিঃশ্বাস
তুমি যখন হাসপাতালের হিমঘরে
তখন এক মুহূর্ত বিলম্ব করেনি আলেন্দের ঘাতকেরা
ওরা দরোজা ভেঙে তছনছ করে দিয়ে যায়
তোমার সাজানো সেলফ, দেয়ালে টাঙানো দুর্লভ ছবি
নির্যিতিত-নিপীড়িত মানুষের রক্তভেজা বই, পাণ্ডুলিপি
পানির ট্যাপ ছেড়ে দিয়ে ডুবিয়ে দিয়ে যায় সবকিছু
নিষিদ্ধ ছিল সকল সমাবেশ ও পদযাত্রা
তবু জান্তার নিষেধ অমান্য করে সেদিন লক্ষ মানুষেরা
তাদের হৃদয়ের শেষ গোলাপটুকু ছুঁড়ে দিতে এসেছিল
প্রতিবাদী পদযাত্রায় মুহূর্মহু উচ্চারিত তোমার কবিতা
উজ্জ্বল কফিন ঘিরে শোক আর ক্ষোভ
সান্টিয়াগো থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র পৃথিবীতে
আজও শৃঙ্খল মুক্তির জন্য তোমার নাম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় উচ্চারিত হয় শান্তিকামী মানবসভায়।
ছাই
জীবন যেন আগুনে পুড়তে থাকা সিগারেটের ছাই
দৈনন্দিন এস্ট্রে জুড়ে পড়ে আছে টেবিলের নীচে
নীল নিকোটিন
একটু একটু করে ফুসফুসে বুনে দেয় নীল ঘাস
হৃদপিণ্ড অবধি চুইয়ে চুইয়ে পড়ে বিশ্বস্ত বিষ
তার চেয়ে বেশি বিষ তোমাদের মনে
তার চেয়ে অধিক গরল ঢেলে দাও প্রেমে
একটুখানি ভালোবাসার জন্য যখন মানুষ কাঁদে
তখন তোমরা তাকে আগুন দাও
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দাও
কলহপ্রবণ সংসারের চুল্লিতে
যখন ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ দিশেহারা
তখন তাদের জঠরে ঢুকিয়ে দাও পাপের পানীয়
অক্ষমতার লবণ জল
তোমাদের বিষে পুড়তে পুড়তে
প্রতিদিন ছাই হয়ে যায় গোল্ডলিফ জীবন আমার
হে কবিতা কীভাবে পুড়ছি দেখ
চন্দ্রবীক্ষণ
আয় চাঁদ, নেমে আয়
পুরুষ পোকায় খাওয়া আমার বোনটির পাশে দাঁড়া
ওকে তুই জোছনায় ভিজিয়ে দে
তোরই মত আমার বোনটিও জোছনা ছড়াত
তার কিরণ মেখে মরেছে কত ভূস্বামী, রাজন
তার জোছনার কাছে সূর্য যখন ঘুমিয়ে পড়েছিল
সেদিন থেকে আম্রপালির মত
রাষ্ট্র তার ঘর বেঁধে দিয়েছে নষ্টনগরে
মানুষেরা লুটেপুটে তার জোছনা খেয়েছে
আয় চাঁদ নেমে আয়
পাড় মাতালের মত তোকে উল্টেপাল্টে দেখি
দেখি তোর কলঙ্কের পাশে তাকে কেমন মানায়
কলঙ্কের বোঝা বয়ে বেড়ানো আমার বোনটার মতো
তুইও এখন বড্ড রোগা
তবুও আয়, জোছনা ও চোখের জলে মাখামাখি হোক
আয় চাঁদ, নেমে আয়
আমার বোনের কপালে টিপ দিয়ে যা
কল্পনার কঙ্কাল ছুঁয়ে
তিনি ভাবতেই পারেননি, কী করে আকাশকে হাতের তালুতে নামিয়ে আনা যায়, কী করে উন্মত্ত সাগর ঝড় তোলে দুপুরের পেয়ালায়, কীভাবে ভোরের সূর্য শূন্য থালায় একখণ্ড রুটি হয়ে হাসে! তিনি বিশ্বাস করতেই পারেননি, মৃত শালিকের হাড় বুকের ভেতর লুকিয়ে মানুষ কীভাবে প্রেমিক হয়ে ওঠে!
একদিন ফুরফুরে ফাগুন বাতাসে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে তিনি ঘর্মক্লান্ত হয়ে ভীষণ জলতৃষ্ণায় কাতরাতে থাকলেন। পাশেই ছিল দুরন্ত নদী। নদীর দিকে হাত বাড়াতেই সে মুখ ফিরিয়ে নিল। আকাশের দিকে দুহাত তুলে ঈশ্বরকে ডাকতেই তিনি দেখতে পেলেন, অজস্র আবাবিল উড়তে উড়তে তার দিকে উত্তপ্ত পাথর ছুঁড়তে ছুঁড়তে এগিয়ে আসছে। অতঃপর স্বপ্নহীন গভীর খাদে তিনি হুমড়ি খেয়ে পড়লেন। তখন চিৎকার করে ডাকতে চাইলেন প্রিয় কোনো স্বজনকে। কিন্তু তিনি কারও নাম মনে করতে পারলেন না। নিজের এই পরিণতিকে কি বলা যায়, সেটা ভাবতেও তিনি দিশেহারা । তখন চিৎকার করে উঠলেন, বললেন, – আমার অভিধান কই, অভিধান?
বহুদিন থেকে তিনি একা, ভীষণ একা। তার পাশে পড়ে আছে শ্যাম্পেনের শূন্য বোতল। সেই শূন্য বোতল বুকে জড়িয়ে কল্পনার কঙ্কাল ছুঁয়ে তিনি ‘কবিতা, কবিতা’ বলে কাঁদতে কাঁদতে পৃথিবী কাঁপিয়ে তুলছেন।
একদিন তিনি কবি ছিলেন।
নিঃসঙ্গ শ্যাম্পেন
অনেক হৈচৈ শেষে শ্যাম্পেন ফুরিয়ে গেল
কীভাবে পার হবে দীর্ঘ রাত ভেবে অস্থির কবি
গভীর চিন্তামগ্ন তিনি
অবশেষে বইয়ের তাক থেকে নামিয়ে নিলেন
কাহলিল জিবরান
ভোর হলো, সূর্য উঠল, পাখি ডাকল
বাইরে শ্রমজীবী মানুষের কোলাহল
কবি তখনও ডুবে আছেন জিবরান সমুদ্রে
চোখের পলকের মতো দিন পার হয়ে যায়
লজ্জায় মুখ ঢাকা কিশোরীর মতো সন্ধ্যা আসে
নতুন করে ঘরে হেঁটে আসে নতুন বোতল
কবির বন্ধুরা এসে দেখতে পান
কবির হাতে দুলছে একগুচ্ছ গালিব
গালিবের সাথে তিনি গলে গলে পড়ছেন
আনন্দটেবিলে বিশ্বস্ত বিছানায়
কারও ডাক শুনতে পেলেন না তিনি
এরপর বহুদিন
নিঃসঙ্গ শ্যাম্পেন পড়ে রইল টেবিলের নিচে।
খসরু পারভেজ
বাংলাদেশে আশির দশকের অন্যতম প্রধান কবি। তাঁর সময়ে তিনি নিজস্বতায় অনন্য। তাঁর কবিতা অসত্য, অসার, অপ্রেম, অমানবিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার।
খসরু পারভেজের জন্ম, ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলার শেখপুরা গ্রামে। পিতা মৃত খন্দকার মকবুল আহমেদ। মাতা মৃত লতিফা বেগম।
বাংলা ভাষা-সাহিত্যে পড়াশুনা করেছেন। একসময় সংবাদিকতা করতেন। দেশের বৃহত্তম রাষ্টায়ত্ব ব্যাংকের চাকুরি থেকে সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেছেন।
খসরু পারভেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন মধুসূদন স্মারক সংস্থা ‘মধুসূদন একাডেমী’ ও কবি সংগঠন ‘ পোয়েট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ‘।
কবিতা চর্চার পাশাপাশি গান লেখেন। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার। গদ্য চর্চা ও গবেষণাধর্মী কাজে নিবেদিত।
তাঁর কবিতা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
প্র কা শি ত গ্র ন্থ
কাব্য
পালক খসা বলাকার আর্তনাদ, নিহত বিভীষিকা নিরুদ্দেশে , মুক্তিযুদ্ধের কুকুরগুলো, ভালোবাসা এসো ভূগোলময় , পুড়ে যায় রৌদ্রগ্রাম, ধর্ষণমঙ্গল কাব্য , রূপের লিরিক , প্রেমের কবিতা , জেগে ওঠো প্রত্নবেলা, জিন্নাহর টুপি, হৃদপুরাণ, নির্বাচিত কবিতা , যশোর রোডে দাঁড়িয়ে, সুবর্ণগ্রামে লকডাউন , সক্রেটিসের সাথে, কুড়িয়ে পাওয়া কবিতা, হিন্দুবাদী কবিতা অথবা একবিংশ শতাব্দীর প্রার্থনা।
গদ্য ও গবেষণা
মাইকেল পরিচিতি , কবিতার ছন্দ , আমাদের শিল্পী এস এম সুলতান , সাধিতে মনের সাধ, আমাদের বাউল কবি লালন শাহ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত , এস এম সুলতান , মধুসূদন : বিচিত্র অনুষঙ্গ ।
অনুবাদ
মধুসূদনের চিঠি।
সম্পাদনা গ্রন্থ
সাগরদাঁড়ী ও মধুসূদন, মুখোমুখি সুলতান, ফুটি যেন স্মৃতিজলে ( যৌথ ), মধুসূদন : কবি ও কবিতা , মধুসূদন : নিবেদিত পঙক্তিমালা, আরো এক বিপন্ন বিস্ময় ( করোনাকালের কবিতা সংকলন), বাঙালির বিস্ময় : মেঘনাদবধ কাব্য।
সম্পাদনা করেছেন দুই ডজনের বেশি মধুসূদন বিষয়ক সাময়িকী ও স্মরণিকা। মধুসূদন স্মরণ বার্ষিকী ‘মধুকর’ সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত। ছোটকাগজ ‘অববাহিকা’ ও ‘ভাঁটফুল’ এর সম্পাদক।
সম্মাদিত পত্র-পত্রিকা
স্মরণ ( মধুসূদন স্মরণপত্রিকা ) ১৯৮৩; স্বরবর্ণ ( মহান একুশে স্মরণে পত্রিকা )১৯৮৫; অববাহিকা ( সাহিত্যপত্র,১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত ৬ টি সংখ্যা প্রকাশ ); টুকরো কাগজ ( মহান একুশ স্মরণে পত্রিকা ) ১৯৯১; বিজয়ের বাণী ( বিজয় দিবস সাময়িকী ) ১৯৯১; মধুমৈত্রী ( ত্রৈমাসিক পত্রিকা, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ ); সুসংস্কৃতি ( দ্বিমাসিক পত্রিকা ( ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ ), দাঁড়াও পথিক-বর ( মধুসূদন জন্মবার্ষিকী স্মরণপত্র ) ১৯৯৩ ; জন্ম যদি তব বঙ্গে ( মধুসূদন স্মরণিকা ) ১৯৯৪ ; হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব ( মধুসূদন স্মরণিকা ) ১৯৯৫ ; মধুমেলা ( মধুসূদন স্মরণিকা ) ১৯৯৬; সতত তোমারই কথা ( মধুসূদন স্মরণিকা ) ১৯৯৭; মধুধ্বনি ( মধুসূদন স্মরণে পত্রিকা ) ১৯৯৮; মধুকথা ( মধুসূদন জন্মবার্ষিকী সাময়িকী ) ১৯৯৯; তিষ্ঠ ক্ষণকাল ( মধুসূদন জন্মবার্ষিকী পত্রিকা) ২০০০; মধুহীন করো না গো ( মধুসূদন একাডেমী পত্রিকা ) ২০০১ ; মধুকর ( মধুসূদন স্মরণিকা ) ২০১৩;
দেশের বাইরে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর একাধিক গ্রন্থ।
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিষয়ে গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনায় কৃতিত্বের জন্য খসরু পারভেজ তৎকালীন অর্থমূল্যে বাংলাদেশের শীর্ষ পুরস্কার ‘আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার’ ২০১৩ ও ‘মহাকবি মধুসূদন পদক’ ২০১৪ অর্জন করেছেন। গান রচনায় সাফল্যের জন্য পেয়েছেন ‘মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান পদক’ ।
এছাড়াও সাহিত্যে অবদানের জন্য প্রাপ্ত অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে উল্লেখযোগ্য – সুকান্ত পদক , মনোজ বসু স্মৃতি পুরস্কার , বিবেকানন্দ পদক, কণ্ঠশীলন সম্মাননা পদক , মাইকেল মধুসূদন সাহিত্য পদক, স্বরগম সংগীত একাডেমী গুণীজন সম্মাননা, জীবনানন্দ স্মৃতি সম্মাননা , বিপ্রতীপ ছোটকাগজ সম্বর্ধনা, দেশজ মেলা সম্বর্ধনা, বৈশাখী মেলা সম্বর্ধনা, কেশবপুর বইমেলা সম্মাননা, কপোতাক্ষ সাহিত্য পরিষদ সম্মাননা পদক , আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার।
ভারত থেকে পেয়েছেন- ফেডারেশন হল সোসাইটি সম্মাননা, তিন বাংলা কবি সম্মেলন সম্মাননা, কবি অমিয় চক্রবর্তী পুরস্কার এবং নজরুল স্মারক সম্মাননা। ]