
কিশোরীমোহন সরকার

করোনার অভিসার
তুমি আসবে বোলে
আমি চৌদ্দ দিন অজ্ঞাতবাসে
স্বেচ্ছা নর্বাসন বেছে নিয়েছি
দশ বাই বার নিশ্ছিদ্র লৌহ বাসরে
পাল্টে গেছে জীবনের রুপ রস রং
মুখে মাস্ক হাতে গ্লাভস্
কী অপূর্ব লাগছে আমাকে
তাই না?
উহান থেকে উড়াল দিয়ে
লক ডাউনের বেস্টনি ডিঙিয়ে
তুমি চুপি চুপি এসে বসলে
দরজার চৌকাঠে সিঁড়ির রেলিংয়ে
চায়ের পেয়ালায় পত্রিকার পাতায়
শুধু একটি চুম্বনের প্রতীক্ষায়।
কী অদ্ভুত শ্যেনদৃষ্টি তোমার
তোমার নীল ছোবলে জর্জরিত লখিন্দর
ভেলায় ভেসে চলেছে স্রোতের উজানে
অমরাবতীর তীরে দেব সান্নিধ্যে ,
ক্রন্দসী বেহুলা অচৈতন্য ধবল শয্যায়
তোমার চুম্বনে চপল চম্পক নগর
আজ শুনসান শ্মশান।

দেখা হবে বৈতরণীর পারে
‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ…’
কেমনে গাই এ গান,কেমন করে বলি-
‘শুভ নববর্ষ’, কেমনে করি গলাগলি !
মান-অভিমান নেই, নেই বাক্য বিনিময়
মানুষ দেখে না মানুষের চেহারা
হাসে না, কাঁদে না, বলে না কথা ।
বন্ধ দুয়ার, রুদ্ধ-কন্ঠ, ওষ্ঠ, অধর
করোনার কাছে আজ জিম্মি-করতল
স্পর্শইন্দ্রিয়, ফুসফুস, মনোবল ।
জিম্মি সকাল-দুপুর, সাঁঝ-সন্ধ্যা
জিম্মি ব্যাংক-বীমা, হৃদয়, কলকারখানা,
জিম্মি রাজদরবার, রাজপথ যানবাহন
জিম্মি মন্দির-মসজিদ, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ।
আমরা অভাজন চলেছি হেঁটে হেঁটে
বৈতরণীর পারে, দেখা হবে-
তোমাতে আমাতে, স্মৃতিজাগা কথা হবে
হাত লুকাবে হাতে, ঝরবে বিরহ বিলাপ
জড়াব লতিকা বাহুডোরে।তারপরে-
অসমাপ্ত যত চুম্বন বিনিময়…
অপেক্ষায় থাকব, এসো বৈতরণীর পারে ।

দুয়ারে লক্ষ্মীর পদচিহ্ন
আতঙ্ক টেনশন হতাশার মাথাখেয়ে
অন্তরীন অজ্ঞাতবাস লকডাউন এড়িয়ে
জেগে উঠেছে-
রোম, উহান, লন্ডন ; মাদ্রিদ, প্যারিস
চার্স দ্য গল,হিথরো,এ্যামিরাটস্।
জেগে উঠেছে-
প্যাংগং, ড্রাংইয়াং, কন্যাকুমারিকা টুইনস্টার, টাইমসস্কোয়ার, ট্রান্সসাই-বেরিয়া।
জেগে উঠেছে –
আল মসজিদুল, অক্ষর ধাম, বেথেলহাম
লুভর, হলিউড, অক্সফোর্ড, নালন্দা ।
জেগে উঠেছে–
কোভিড-করোনাদংশিত লাখো লখাই
শক্তিসেলে লক্ষ্মণ চোখ মেলে ওই ।
তোমরা দধীচি-বেহুলারা সপ্তসর্গে
যে যেখানে আছো, ভালো থেকো ।
ভাল থেকো হাইদি, ইয়ুভ, নাজিব, সুজান
ভলো থেকো নিযুত সংশপ্তক সেনা,
ভালো থেকো দ্বিতীয় ঈশ্বর যত ।
কীর্তি তোমাদের অমর অবিনশ্বর,
তোমাদের সেবায় ত্যাগে প্রেমে দানে
নাগিনী করেছে মাথা নত, নিয়েছে বিদায় ।
দুয়ারে লক্ষ্মীর পদচিহ্ন ওই দেখা যায়।

ধরিত্রী ভাসছে অশ্রু সাগরে
আমার দখিনের জানালার নিম গাছটা
কাল রাতে খুব কান্না করেছে
উতল হাওয়ার গলা জড়িয়ে
সে কী হা পিত্যেশ হা হুতোশ
রবীন্দ্র সংগীতের পরশ ভুলে
আমি ওর কাঁন্নায় কান পেতেছি
কে নাকি ওর বাকল তুলেছে
পাতা ছিঁড়েছে, ডাল ভেঙেছে
করাত চালাতে চেয়েছ ওর
বেদীমূলে, জঠরে, পাঁজরে, গ্রিবায়,
গণ্ডদেশে ওর ফোঁটাফোঁটা অশ্রু, যেন–
আমার বাবার একাত্তরের ভাষাহীন
মুখমণ্ডল, সর্বাঙ্গে সব হারানোর বেদনা
সে ভাষা কেউ পড়েনি
কোন অভয় হাত কাঁধে চাপেনি
মায়াবি আঁচল মোছেনি চোখ ।
আজও মানুষের কান্না
বোঝেনা মানুষ, বন পলাশের কান্না
আজও শুনতে পায় না মানুষ,
ধরিত্রী ভাসছে অশ্রু সাগরে
শাল, সেগুন, যায়েদা,বাসন্তী
কেঁদে কেঁদে হচ্ছে নিঃশেষ ।

তবুও নদী হাসে
তবুও নদী হাসে
জাগে না ঢেউ, উড়ে না পাল
ঘাই মারে না চিতল বোয়াল
তবুও নদী হাসে
বুকে যদিও বহে না উজান
হৃদয়েতে দোল খায় না
রঙ বে-রঙের পানসি ভাসান
তবুও নদী হাসে
ছিপখানে বৈঠা টানে না মাঝি মাল্লা
ঘোলাজলে ডলপিনেরা করে নাকো হৈ-হল্লা
তবুও নদী হাসে
ঢেউ তরঙ্গে চাঁদের আলো
খায় না লুটো পুটি
সাগর মোহনায় গীত গাইতে
গঙ্গা-যমুনার নেইকো ছোটাছুটি
তবুও নদী হাসে
বিধবার বুকে যেমনি করে
নীরব প্রেম জাগে
বন্ধ্যার বুকে যেমন করে
সন্তান বাসা বাঁধে
তবুও নদী হাসে
হাসতে হাসতে তেরশ ভাই বোন
চলেছে অজ্ঞাত বাসে…

ক্ষমা করো
ক্ষমা করো নীল
ক্ষমা করো গঙ্গা-ভলগা
ক্ষমা করো ক্রৌঞ্চী-টীয়া-বলাকা,
ক্ষমা করো শাল-সেগুন-গজারী
ক্ষমা করো নীলাকাশ-প্রশান্ত-গিরি।
এবার যদি বাঁচি–
সকলের তরে সকলে হবো
পাহাড়-নদী-পাখির সাথে কইবো কথা,
সাক্ষী রইলো চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারা
সাক্ষী তুমি ধরিত্রী বসুমাতা।
নৌকার বুকে পাল উড়াবো
নীল আকাশে উড়াবো ঘুড়ি
উড়বে শ্যামা গাইবে গান
নদীর বুকে ডাকবে বান।
সত্য-সুন্দর-কল্যাণেরে
রাখবো আমরা মুঠোয় পুরি,
ক্ষমা করো প্রকৃতি মহারাণী
ক্ষমা করো অদৃশ্য জাদুকরী।


কিশোরীমোহন সরকার
জন্ম : ২০ নভেম্বর ১৯৫৭, সাতক্ষীরা।
পিতা : দীনবন্ধু সরকার
মাতা : মোক্ষদা সরকার
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা : এম. এ. বি. এড।
কৈশোর যৌবনে ফুটবল, ভলিবলসহ অন্যান্য খেলাধুলায় মেতে থাকতেন। শিক্ষাজীবনের শেষেরদিকেও নানা পর্যায়ে নিয়মিত ক্রিকেট খেলেছেন। পেশাগত জীবনের বেশি সময়টা শিক্ষকতা বাকী সময়টা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কর্মক্ষেত্র থেকে অবসর।
খেলাকে পেশা হিসেবে না নিতে পারার জমানো ব্যর্থতা যন্ত্রণার উপশম– ছোটছেলে ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের নিয়মিত ক্রিকেট খেলা।
সৌখিনতা অতিক্রম করে পেশা-নেশার পাশ কাটিয়ে নিয়মিত চর্চার সিঁড়ি বেয়ে সাহিত্যের শৈল্পিকতায় নিজেকে স্থির করেছেন।
প্রকাশিত গ্রন্থ
প্রতীক্ষার প্রত্যাশায় : কাব্যগ্রন্থ : ১৯৯৯
আমরা যদি না জাগি মা : কাব্যগ্রন্থ : ২০১৫
বেলতলা থেকে ব্যাংকক : ভ্রমণভাষ্য : ২০২০
where to buy tadalafil on line tadalafil price walmart
generic cialis online fast shipping tadalafil without a doctor prescription
cheap generic cialis for sale cheapest tadalafil cost
side effects for tadalafil where to buy tadalafil on line
https://cialisedot.com/ tadalafil dosage
buy tadalis buy cialis
My relatives all the time say that I am wasting my time here at net, except I know I am getting familiarity daily by
reading such pleasant articles.
best price usa tadalafil tadalafil daily online
https://cialisvet.com/ cialis tadalafil
https://cialisusdc.com/ best price usa tadalafil
tadalafil liquid cialis without prescription
tadalafil without a doctor prescription tadalafil cost in canada
cost tadalafil generic where to buy cialis without prescription
tadalafil order online no prescription tadalafil drug
tadalafil blood pressure tadalafil brands
https://cialisedot.com/ cialis at canadian pharmacy
tadalafil daily online cialis without prescription
tadalafil price walmart tadalafil order online no prescription
cialis at canadian pharmacy where to order tadalafil tablets
cost of cialis tadalafil side effects
order provigil 100mg pill
buy provigil 100mg pills buy generic modafinil
cost provigil
what Is Generic Cialis Called?
when Is Cialis Going Off Patent?
how Quickly Does Cialis Work?
purchase modafinil without prescription modafinil 100mg pills
Cialis Or Viagra Which Is Better?
when Will Cialis Be Off Patent?
can you take viagra after drinking alcohol Mckinley mrleeXAKOCFsZFi 6 19 2022