কবিতা

শিশির আজম

মুক্ত মানুষের কেচ্ছা

বসে থাকা ছাড়া কোন কাজ নেই দেখছি গনগনে দুধের ওপর
মাথার ভেতর ঘুঘুপাখি
ঝাঁঝা ঝিঁঝি টেলিগ্রাম
কার্তিকের জলপুকুরে
বিকেলের ছায়া দেয়ালটাকে মেঝেয় নামিয়ে নিয়েছে জাস্ট পাগলামি

সচেতন বাবা জানালাটা বন্ধ করে দিলেন টবে জল না দিয়ে
বড় এক বোঝা ঘাড় থেকে নেমে গেল, কাজল ভাবলো
কিন্তু মাথা তো মাথাই
ডিমের নীল আলোয় ওটা মস্ত এক বিষাক্ত কাঁঠাল

কোনো ভাবনা নেই কেমন দাঁড়াবে আগামী কালকের ল্যান্ডস্কেপ
তেলাপোকা নাশক পাউডার হাতে রাখা দরকার
মরা বাড়ির রাস্তায় এখন ভয়
উঠোনে ভাসছে পুড়ে যাওয়া মেঘেদের নৌকো
আর টলটলে দুধের ঐ বিনম্র গাছগুলো সত্যি অসুস্থ
ওরা কাঁতরাচ্ছে সারারাত ঘুমোবে না

মেঘে ঢাকা তারা

আমাকে একটা আলপিন দিন
খাবো
কাচের ভেতর পাউরুটি
জবাফুল

এটা না কী সূর্য এটা না কী দরজা
ফুলগুলো কাঁটাগুলো এতোদিন সাজিয়েছি শ্রদ্ধাভরে
দায়বদ্ধতায়
এখন দেখি কী মিথষ্ক্রিয়া

আমার ভেতর সম্ভাবনা দেখার
আমাকে নিয়ে চ্যারিটি করার
সুযোগ
আপনাকে দেবো না

কয়েকটি নিষ্কলঙ্ক কবিতা

মলিন পাতলা এই খাতা
এর ভিতর আমার কয়েকটি কবিতা
ঘুমোচ্ছে

ওদের আমি ঘুমোতে দিই
ওরা ঘুমোক

তোমাদের মিথ্যে মিথ্যে আর মিথ্যের
জৌলুস
ওরা দেখেনি

বিছানা

তোমরা তপ্ত কাঁঠালকাঠে আমি আধঘণ্টা ঘুমোই আধঘণ্টা পড়ি
আধঘণ্টা শূন্যতার ভিতর গোঙাই আধঘণ্টা বরফযুগ
আধঘণ্টা মরুশেয়ালের অনুদ্ঘাটিত বীজতলা
দাঁতালো বাড়িগুলো গড়াতে গড়াতে আমার দিকেই আসছে

আমি তোমার আকাশ ধরবো তোমার রাখালের চিরস্থায়ী অসুখের পাশে
কিন্তু ওটা পুকুর ওটা কমবেশি ভীত
কেউ ওটাকে আঘাত করেছে
কেউ চুষেছে নাম না জেনে সময় না মেনে

হয়তো আবার আমি ঘুমোতে যাবো তোমার কাঠের বিষয়বস্তু না বুঝেই
তোমার বাদামি খড়ের গাদায়
বড় বড় বাতাসের থিয়েটারে
আমি ভীত হবো আর আঁকড়ে ধরবো তোমার কাঁকড়া

ভুলে যাই

আমি পাখি
তারা
বারবার
তারা
বারবার
মনে করিয়ে দেয়

আমার পাখি
হাঁসফাঁস করে